পাতা:দেশের কাজে যারা দিল সব.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশের কাজে যারা দিল সব “আজ আমাদের সুখের ও দুঃখের দিন । এই দিনটি এলেই মনে পড়ে আমাদের প্রশান্তদা, আমাদের বনানীদির কথা । আজকের দিনে তাদের দেখতে না পেলেও আমি দেখতে পাচ্ছি তোমাদের মধ্যে প্রশান্তদা, বনানীদির মুখের ছাপ ; তারা দুজনেই তোমাদের মধ্যে আছেন। আজ তাদের জ্বস্য দুঃখ করবো न । তারা সর্বহারাদের মুক্তির জন্য নিজের জীবনকে আত্মোৎসর্গ করেছেন । [ কথা বলতে বলতে মঞ্জুলার চোখ দুটি সজল হয়ে উঠলো। গলা ধরে এল। একটু থেমে । ] তোমাদের এই সংঘে আসার আগে শ্ৰীমন্ত এসেছে। প্রশান্তদা, বনানীদির হাতে গড়া এই শ্ৰীমন্ত। শ্ৰীমন্তকে নিয়ে তোমাদের কাজ এগিয়ে চলুক, এই কথাই বলছি । আজ আমাদের একটিমাত্র কাজ—প্রশান্তদা, বনানীদিকে শ্রদ্ধা জানানো । এস শ্ৰীমন্ত, প্রশান্তদার ও বনানীদির প্রতিমূর্তি তুমিই উন্মোচন কোরে তাদের ফুলের মালা পরিয়ে দাও । [ মঞ্জুলা বসলো । ] শ্ৰীমন্ত—[ ধীরে ধীরে স্পষ্ট করে বললে। ] প্রশান্তদা, বনানীদি, তোমরা আমার প্রণাম গ্রহণ কর । যে নিঃস্ব, যে অসহায় তাকে তোমরা মানুষ করেছ । তাকে শিখিয়েছ অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাড়াতে । তুমি চেয়েছিলে, সর্বহারাদের মুক্তি, সর্বহারাদের জয় । তোমার পতাকা যেন বহন কোরতে পারি, এই আশীৰ্বাদ কর । —[ মঞ্জুলাকে প্রণাম করলে । ] মঞ্জুলাদি, তুমিও আমার প্রণাম গ্রহণ কর । \లిసి