পাতা:দেশে দেশে জলবায়ুর পরিবর্তন.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
  • এয়ারকণ্ডিশনার যত কম ব্যবহার করা যায় তত ভালো।
  • সম্ভব হলে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করুন। এই শক্তির উৎস বায়োগ্যাস, সূর্যের আলো, বায়ু বা জলবিদ্যুৎ এর মধ্যে বায়োগ্যাস তৈরি সবচেয়ে সহজ। রান্নাঘরের ফেলে দেয়া আবর্জনা এবং মানুষ বা পশুর বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস তৈরি হয়। বায়োগ্যাস আমাদের তাপ সরবরাহ করতে পারে এবং বর্জ্যে ও রোগবালাই মুক্ত সুস্বাস্থ্য ও নির্মল পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারে।
  • জ্বালানি বাঁচাতে একই গন্তব্যে চারজন চারটি গাড়িতে না গিয়ে একটি গাড়িতে যেতে পারেন। ব্যক্তিগত গাড়ির বদলে সুযোগমতো জনপরিবহন যেমন বাস, ট্রেন ব্যবহার করান, এতেও ভুগানি বাঁচানো সম্ভব;
  • রান্না ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ শেষ হলে রান্নাঘরে গ্যাসের চুলা বন্ধ রাখতে বলুন। এতে আমাদের অমূল্য গ্যাস সম্পদ আরো কয়েক বছর বেশি ময়ূদ থাকবে। এই গ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়;
  • বেশি বেশি করে গাছ লাগান, অ্যাপার্টমেণ্টে থাকলে বারান্দায় টবে গাছ লাগাতে উদ্যোগী হোন;
  • যানবাহন ও কলকারখানার কালো ধোঁয়া রোধ করার কথা বলুন; যেসব ফসল স্বল্প সময়ে বন্যার আগে তুলে ফেলা সম্ভব সেগুলো বেশি করে চাষাবাদ করতে বলুন।
  • স্থানীয় জাতগুলো চাষাবাদে উৎসাহিত করছন যেসবের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি;
  • লবণাক্ত এলাকায় সহনীয় ধান বা শস্যের উদ্ভাবন ও আবাদের প্রসার ঘটানোর পক্ষে কথা বলুন।
  • দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে কচুরিপানার ভাসমান ধাপে সবজি ও বীজতলায় চাষাবাদ বাড়ানোর কথা বলুন, যার ফলে আগাম বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।

***