কাজীর জন্যেতে, যদি ঘুষ মতে, পঞ্চখীরা দেহ তত্র। তোমার কারণে, করিবে প্রমাণে, তরবুজের শত ক্ষেত্র॥
১০৮। ব্যভিচারিণী বৃদ্ধা স্ত্রী দুষ্কর্ম্ম হইতে ও কর্ম্মচ্যুত কোতয়াল লোকদিগকে পীড়া দেওন হইতে ক্ষান্ত থাকন বিনা আর কি করিবেক।
যুবাকালে ক্ষান্ত হয় সংসার হইতে। তাহাকেই মানি ধন্য ঈশ্বরের পথে॥ বৃদ্ধ হইলে কাজেই সে উঠিতে না পারে। এতদর্থে প্রশংসা না করিও তাহারে॥ যুবাকালে কামে ক্ষান্ত থাকন উচিত। বৃদ্ধের সহজে লিঙ্গ না হয় উত্থিত॥
১০৯। কোন নীতিজ্ঞ ব্যক্তির নিকট লোকেরা জিজ্ঞাসা করিলেন যে জগদীশ্বর কত২ নামবন্ত ও ফলবন্ত বৃক্ষের সৃষ্টি করিয়াছেন, কিন্তু কাহাকে ত্যাজ্য বলেন নাই, ও ছরব বৃক্ষ যে নিষ্ফল তাহাকে ত্যাজ্য বলিয়া থাকেন ইহার কারণ কি, উত্তর করিলেক ঐ বৃক্ষ বসন্ত ও নিদাঘের ব্যাপ্য হয় কেননা তখন নব২ পল্লবে বিভূষিত ও প্রফুল্লিত না হইয়া পত্রাদি সরিয়া একদা মৃত কল্প হইয়া যায়, আর ছবব বৃক্ষের এ দুই অবস্থা নাই, তাহার সর্ব্বদা প্রফুল্লতা থাকে, আর ত্যাগিরদের নিদর্শন এই বটে।