পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০০
চরিতাষ্টক।

শিক্ষক সিরবোরন্ সাহেবকে কখনই বিস্মৃত হন নাই। সাহেব যতদিন জীবিত ছিলেন, দ্বারকানাথ তাহাকে নিয়মিত রূপে বৃত্তি প্রদান করিতেন। দ্বারকানাথ নিজ যত্নে উৎকৃষ্ট রূপে পারসী ও আরবী ভাষা অভ্যাস করিয়াছিলেন। তিনি আরবী ও পারসীতে বিশেষ ব্যুৎপন্ন হইয়াও ঐ দুই ভাষায় সুচারুরূপে লিখিতে ও কহিতে পারিতেন।

 দ্বারকানাথের পালক পিতা যদিও অতিশয় ঐশ্বর্য্যশালী জমিদার ছিলেন না, তথাপি তাঁহার চাল চলন বড় মানুষী ধরণের ছিল। দ্বারকানাথ যে পৈতৃক সম্পত্তির অধিকারী হন, তাহা তৎকালীন হিন্দু পরিবারের অভাবপূরণে সমর্থ হইত; কিন্তু দ্বারকানাথ ঠাকুর সদৃশ ব্যক্তির পক্ষে তাহা সামান্য ছিল। সুতরাং তাঁহাকে নিজ যত্নেও পরিশ্রমে অনেক অর্থ উপার্জ্জন করিতে হইয়াছিল। একজন লেখক বলিয়া গিয়াছেন যে দারিদ্র্য ও অপরিমিত সম্পদশালিতার মধ্যবর্ত্তী অবস্থাতেই সুন্দররূপে মানসিক উন্নতি হইয়া থাকে। দ্বারকানাথ ইহার স্পষ্ট নিদর্শন।

 বালক কালেই তাঁহার পিতার মৃত্যু হয়। সুতরাং পৈতৃক বিষয়াদির ভার, তাঁহার উপরেই পতিত হইল। যে সকল জমিদারীর ভার তাঁহার গ্রহণ করিতে হয়, তন্মধ্যে পাবনার অন্তর্গত বহরমপুর নামক একটী জমিদারী ছিল। এই ভার গ্রহণে তাঁহার একটা বিশেষ উপকার এই হইল,