দেওয়ান হইলেন। বহুবৎসর অত্যন্ত কার্য-দক্ষতা ও প্রশংসার সহিত ঐ কার্য করিয়া নিজের কার্য্য বাহুল্য প্রযুক্ত ইচ্ছাপূর্ব্বক ঐ পদ পরিত্যাগ করিলেন। তাঁহার এস্তোবা পাইয়া বোর্ডের সেকরেটারি পারকার্ সাহেব যারপর নাই দুঃখিত হন এবং যথেষ্ট সুখ্যাতি ও তাঁহার কার্য্য নৈপুণ্যের বিচার করিয়া তাঁহাকে দুইখানি পুত্র লেখেন। ঐ পত্র দুই খানি এস্থলে উদ্ধৃত করা যাইতে পরিত; কিন্তু সংক্ষিপ্ততা এই গ্রন্থের একটা উদ্দেশ্য বলিয়া তাহা হইল না। বোর্ডের কাজ ছাড়িয়া দিয়া তিনি ইউরোপীয় প্রণালীতে কারবার আরম্ভ করিলেন। সব প্রথমে দ্বারকানাথ ঠাকুর এদেশে ইউরোপীয় প্রণালীর বাণিজ্যালয় স্থাপন করলেন বলিয়া তৎকালের গবর্ণর লর্ড উইলিয়াম বেণ্টিক্ বাহাদুর তাঁহাকে একখানি অভিনন্দন পত্র প্রদান করেন। যেহেতু তৎকালে কেহই এরূপ স্বাধীন ব্যবসায় অবলম্বন করিতে সাহসী হন নাই। সকলেই বিলাতী কুঠির মুছদ্দিগিরি করিয়া এবং দস্তুরির লাভে সন্তুষ্ট হইয়া কালযাপন করিতেন। সুতরাং এতাদৃশ সময়ে এরূপ সদনুষ্ঠান দর্শনে গবর্ণর বাহাদুর সন্তুষ্ট হইয়া পত্র দ্বারা দ্বারকানাথকে উৎসাহিত করিয়াছিলেন। ইহা-একজন বাঙ্গালীর পক্ষে সামান্য গৌরবের বিষয় নহে।
দ্বারকানাথ ঠাকর ইহার পর আর কয়েক জন বড় ২