পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৪
চরিতাষ্টক।

সাহেব ও বাঙ্গালীর সহিত মিলিত হইয়া একটা ব্যাঙ্ক‌্, স্থাপিত করেন। ক্রমে নীল, রেশম ও চিনির কুটী করিয়া ছিলেন। রাণীগঞ্জে কয়লার কাজ চালাইতেও আরম্ভ করিয়াছিলেন। দ্বারকানাথ ওকালতী, স্বাধীন বাণিজ্য, কুঠির কাজ প্রভৃতিতে যেমন কৃতকার্য্য হইয়াছিলেন, জমিদারী কার্য্যেও সেইরূপ। পৈতৃক জমিদারী ব্যতীত তিনি নিজে অনেক ভূসম্পত্তি ক্রয় করিয়াছিলেন। তন্মধ্যে রাজসাহীর অন্তর্গত কালীগ্রাম, পাবনার অন্তর্গত সাহাজাদপুর, রংপুরের মধ্যে স্বরূপপুর, মণ্ডলঘাটের তের আনা অংশ, দ্বারবাসিনী, জগদীশপুর, যশোহরের অন্তর্গত মহম্মদসাহী প্রভৃতি প্রধান। এতদ্ব্যতীত আরও অনেক জমিদারী তিনি স্বয়ং ক্রয় করেন। কিন্তু এই সময়ে তাঁহার পৈতৃক জমিদারী পাবনার অন্তর্গত বহরমপুর, তাঁহার পক্ষে বড় বিরক্তিকর হইয়া উঠিয়াছিল। তত্রত্য প্রজারা ঐকমত্য অবলম্বনপূর্ব্বক খাজনা দেওয়া রহিত করে এবং নায়েব গোমস্তার পীড়ন হইতে নিস্কৃতি পাইবার প্রার্থনায় মাজিষ্টরের কাছে দরখাস্ত দেয়। মাজিষ্টর স্বয়ং তত্ত্বানুসন্ধান করিবার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইলেন এবং প্রজাগণকে জমিদারের অত্যাচার হইতে রক্ষা করিবার আশা দিলেন। প্রজারা হুজুরের প্রশ্রয়ে আরও উদ্ধত হইয়া উঠিল। দ্বারকানাথ এই সম্বাদ পাইয়া মাজিষ্টরকে শিক্ষা দিবার উপায় অনুসন্ধান