পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বারকানাথ ঠাকুর।
১০৫

করিতে লাগিলেন। মাজিষ্টরের কতকগুলি পূর্ব্বকৃত অপরাধ সন্ধান করিয়া তিনি নিজে বহরমপুরে গমন করিলেন এবং একদিন রাত্রে সাহেবের তাম্বুতে গিয়া তাঁহার সহিত দেখা করিলেন। প্রথমে সাহেবকে কহিলেন যে, একপক্ষের কথা শুনিয়া বিশ্বাস করা তাঁহার অন্যায় হইতেছে এবং প্রজারা যে সকল অত্যাচারের কথা সাহেবকে জানাইয়াছে, তাঁহার কর্ম্মচারিগণের দ্বারা সেরূপ অত্যাচার হয় না। অতএব সাহেব প্রজাদিগের পক্ষতা পরিত্যাগ করুন। সাহেব একথায় সন্তুষ্ট না হইয়া ইতস্ততঃ করিতে লাগিলেন। তখন দ্বারকানাথ, সাহেবকে পূর্ব্বাপরাধ গুলি স্মরণ করাইয়া তাঁহাকে পুলিসে অর্পণ করিবার ভয় প্রদর্শন করিলেন। সাহেব তখন সুপথে আসিয়া সকল গোল মিটাইয়া দিলেন। একে সাহেব, তাহে জিলার হর্ত্তাকর্ত্তা, তাঁহার সঙ্গে এমন অসম সাহসের কার্য্য, বোধ হয়, দ্বারকানাথের পুর্ব্বে বা পরে কোন বাঙ্গালীই, করিতে পারেন নাই।

 দ্বারকানাথ আপনার স্বার্থ রক্ষার্থ যেমন উদ্যোগী ও তৎপর ছিলেন; পরার্থ রক্ষা ও পরের অভাব দর্শনেও ঠিক সেইরূপ ছিলেন। ইহার একটি উদাহরণ পূর্ব্বে দেওয়া গেল। আর একটা নিম্নে প্রকটিত হইতেছে।

 কোন সময়ে একজন জিলা জজ্ পীড়িত হইয়া বিলাত গমনার্থ বিদায় লইয়াছিলেন। তাঁহার একলক্ষ টাকা