পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বারকানাথ ঠাকুর।
১০৯

সাহেব তখন ২৪ পরগনার কালেক‍্টার ছিলেন। কোন সময়ে ঐ সকল কর্ম্মচারীর মধ্যে একজন কতকগুলি টাকা চুরি করে। গবর্নমেণ্ট তজ্জন্য প্লাউডেন্ সাহেবকে ঐ ক্ষতিপূরণ করিতে আদেশ করেন। দ্বারকানাথ ইহা জানিতে পারিয়া সাহেবকে এই মর্ম্মে পত্র লিখিলেন যে, “আমি ঐ ক্ষতিপূরণ করিতে বাধ্য, যেহেতু আমার অনুরোধেই ঐ ব্যক্তিকে কর্ম্ম দেওয়া হইয়াছিল।” প্লউডেন্ সাহেব যারপর নাই সন্তোষ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিয়া ঐ পত্রের উত্তর দেন।

 দ্বারকানাথ ২৪ পরগনার দাতব্য চিকিৎসালয়ে এক লক্ষ টাকা দান করিয়াছিলেন। নিরাশ্রয় অন্ধগণের সাহায্য নিমিত্ত ঐ টাকায় একটী ফণ্ড হইয়াছিল। ঐ ফণ্ডের জন্য কয়েক জন প্রধান সাহেব ট্রষ্টি নিযুক্ত হন। ট্রষ্টিগণের অন্যতম পার্কার সাহেব দ্বারকানাথকে এক পত্র লেখেন। ঐ পত্রের একাংশে এইরূপ লেখা আছে। “আমি বহু কাল হইতে আপনার অন্তরের পবিত্রতা, নিঃস্বার্থতা এবং অতুল্য দয়ার বিষয় এত অধিক পরিমাণে অবগত আছি যে, আপনার এই অসামান্য দান দেখিয়া, অন্যে বিস্মিত হইতে পারে, কিন্তু, আমি বিস্মিত হইলাম না।” তাঁহার সময়ে কি শিক্ষা সম্বন্ধে কি অন্যবিধ দয়ার কার্য্যে, যেখানে যে

১০