পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বারকানাথ ঠাকুর।
১২৯

 দ্বারকানাথের সময়ে বাঙ্গালীর মধ্যে তত্ত‌ুল্য ক্ষমতাশালী বোধ হয়, আর কেহই ছিলেন না। স্বার্থ বিস্তৃত হইয়া পরার্থে পরিণত হয়। একটি বালক আপনার বিষয় যেমন বুঝে, পরের বিষয় তেমন বুঝে না। যত বয়ঃপ্রাপ্ত হইতে থাকে, অপরের বিষয় ততই বুঝিতে আরম্ভ করে। আত্ম কার্য্য সাধনে, আপনার সুখসচ্ছলতা বর্দ্ধনে, আপনার অভাবপূরণে, এবং সর্ব বিষয়ে প্রাধান্য লাভে মানুষ যতই কৃতকার্য্য হইতে থাকেন, তাঁহার মন আপনার কার্য্য হইতে বিরত হইয়া ততই পরের কার্য্যে অভিনিবিষ্ট হইতে থাকে। তখন সেইরূপ অভিনিবেশেই অন্তরে সুখানুভব হয়। এইরূপে মানুষের মন, নিজ গৃহ, —নিজ পল্লী হইতে স্বগ্রামে,—অবশেষে স্বদেশে বিক্ষিপ্ত হইয়া পড়ে। ইহাকেই স্বদেশ-হিতৈষা কহে, ইহাকেই স্বার্থের বিস্তৃতি কহে। কার্য্যের দ্বারা সপ্রমাণ হইয়াছে যে, দ্বারকানাথ স্বদেশ-হিতৈষী ছিলেন। অতএব তিনি প্রাধান্যলাভে কত দূর কৃতকার্য্য হইয়াছিলেন, ইহা দ্বারা তাহাও প্রতিপন্ন হইতেছে।

 তিনি জমিদারী, ওকালতী, চাকরী ও নানাবিষয়ক বাণিজ্য দ্বারা অপরিমিত অর্থ উপার্জ্জন করিয়াছিলেন। এক দিকে যেমন অপরিমিত উপার্জ্জন, অন্য দিকে তেমনি অপরিমিত সদ্ব্যয় করিয়াছিলেন। তাঁহার সদ্ব্যয়ে অর্থ, সার্থক হইয়াছিল। যাঁহাদের টাকা আছে, ব্যয়