পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সর্ রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুর।
১৩৩

আদর্শ করিয়া ঐ যন্ত্র নির্ম্মাণ আরম্ভ করিয়াছিলেন। অনেক দূর সম্পন্নও হইয়াছিল; কিন্তু যন্ত্র বিজ্ঞানে সম্যক্ জ্ঞান না থাকায় তাহাতেও কৃত কার্য্য হইতে পারেন নাই। তিনি ইউরোপীয় বিজ্ঞান শাস্ত্র অধ্যয়নে বঞ্চিত হইয়াছিলেন বলিয়াই, তাঁহার তাদৃশী প্রভিভা ও তাদৃশ অধ্যবসায় হইতেও আশানুরূপ ফল প্রসূত হয় নাই, ইহা ভাবিলে মনে বড়ই দুঃখ হয়। কিন্তু সে দুঃখ করা বৃথা! বর্ত্তমান কালে অনেকে ইউরোপীয় বিজ্ঞানে সুশিক্ষিত হইতে ছেন, অনেকের প্রচুর অর্থ ও আছে; কই! তাহাদের ত এসকল বিষয়ে চেষ্টা হয়না! তাঁহারা চেষ্টা করিলে নিশ্চয়ই কৃত কার্য্য হইবেন,— বাঙ্গালীর কপাল ফিরিবে এই জন্যই বুঝি! তাঁহাদের চেষ্টা হয় না। সঙ্গীতেও তাঁহার অত্যন্ত অনুরাগ ছিল। তাঁহার যত্নে “হাপ্ আখ্ ড়াইয়ের” সৃষ্টি হয়। ফলতঃ বড় মানুষের যে সকল গুণ থাকা আবশ্যক, গোপীমোহনের সকলই ছিল। তিনি হিন্দু দলের দলপতি ছিলেন, সুতরাং যখন সতী-দাহনিবারণার্থ রাজা রামমোহনরায়, দ্বারকানাথ ঠাকুর প্রভৃতি চেষ্টা করেন, তখন তিনি ধর্ম্মসভার অধ্যক্ষ হইয়া তাহার প্রতিবাদ করেন।

 পূর্ব্বে উল্লেখ করা হইয়াছে, রাজকৃষ্ণ সম্পূর্ণরূপে মুসলমান আচার ব্যবহারের অনুষ্ঠান করিতেন। কিন্তু অন্যের সহিত শত্রুতা সাধন সময়ে প্রয়োজন হইলে

১২