পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চরিতাষ্টক।

বিদ্যালঙ্কারকে জিজ্ঞাসা করিলেন। “মহাশয়, ভাগীরথীকে এই স্থানে এত মন্দ গামিনী দেখাইতেছে কেন?”, বিদ্যালঙ্কার। “তাহার কারণ আছে, শ্রবণ করুন” বলিয়া নিম্ন লিখিত কবিতাটী বলিলেন।

“সগরসন্ততিসন্তরণেচ্ছয়া প্রচলিতাতিযবেন হিমালয়াৎ।
ইহ মন্দমুপৈতি সরস্বতী যমুনয়োর্ব্বিরহাদিব জাহ্নবী।”

 ভাগীরথী সগর সন্তানগণের উদ্ধার বাসনায় সরস্বতী ও মমুনা নাম্নী সখীদ্বয় সমভিব্যাহারে হিমালয় হইতে অতিবেগে গমন করিতেছিলেন, এই স্থানে ঐ সখী দ্বয়ের সহিত বিরহ নিবন্ধন জাহ্নবীর এতাদৃশী অবস্থা হইয়াছে। ফলতঃ নদী যত সম ভূমিতে যায় ততই মন্দবেগ হইয়া থাকে। বিশেষতঃ ত্রিবেণী হইতে সরস্বতী ও যমুনা নাম্নী শাখা নদী দুই টি ভিন্ন ২ দিকে গমন করায় উক্ত স্থানে ভাগীরথীর ঐরূপ অবস্থাই সম্ভব। কি! আশ্চর্য্য শক্তি! কি অদ্ভুত কবিত্ব! এমন বিশুদ্ধ ভাব সমন্বিত ললিত কবিতা, দীর্ঘ কাল চিন্তার পর সুকবির মুখ হইতে নির্গত হয় কি না সন্দেহ।

 অপর কোন সময়ে কৃষ্ণ চন্দ্রের প্রতিষ্ঠিতা কালীর হৈম কিরীট অপহৃত হয়। তখন কর চালনা গণনায় লোকের বিশ্বাস ছিল। ঐ প্রক্রিয়ায়, “চৌরোহরঃ” এই পদ লিখিত হইল। তদনুসারে সেই কালী পুজকের ভ্রাতা হর নামক কোন ব্যক্তির প্রতি সন্দেহ করা