সভাতেও উপস্থিত হইতেন। কারণ তাঁহার পূর্ব্বোপদেষ্টা ও পরম বন্ধু ডিরোজিও সাহেব ঐ সভার সভাপতি ছিলেন। তিনি যে বাগ্মীতা নিবন্ধন দেশ বিদেশে সুখ্যাতি লাভ করিয়াছিলেন, যে বাক্ শক্তির বলে দেশের অনেক উপকার করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, এই সভায় তাহার সূত্রপাত হয়। তিনি বাক্ পটুতা লাভের জন্য নিয়মিতরূপে বক্তৃতা করিতেন। এই সভার এমন নাম বাহির হইয়াছিল যে, লর্ড উলিয়ম বেণ্টিঙ্ক বাহাদুর আপনার কার্য্যাধ্যক্ষ দ্বারা উহার তত্ত্বাবধান করিতেন।
এই সময়ে তাঁহার সহধ্যায়ী রসিককৃষ্ণ মল্লিক “জ্ঞানান্বেষণ” নামক একখানি সম্বাদ পত্র প্রচার করিতে ছিলেন। রামগোপাল তাহাতে নিয়মিত রূপে লিখিতেন। তিনি দেশীয় বাণিজ্য ও রাজনীতি বিষয়েই অধিক প্রস্তাব লিখিতেন। আমদানী দ্রব্যের উপর শুল্ক থাকিবে কি উঠিয়া যাইবে, গবর্ণমেণ্টেে যখন এইরূপ আন্দোলন হইতে ছিল, তখন রামগোপাল উক্ত কাগজে ঐ বিষয়ে “সিভিস্” স্বাক্ষরিত কতকগুলি পত্র লিখিয়া ছিলেন। অনেকে বিশ্বাস করেন, ঐ অনিষ্টকর শুল্ক রহিত বিষয়ে রামগোপালের পত্র সকল বিশেষ সহায়তা করিয়াছিল। “জ্ঞানান্বেষণ’ বন্ধ হইলে, কিশোরীচাঁদ মিত্রের সম্পাদিত “বঙ্গ দর্শক” পত্রে সময়ে ২ লিখিতে