স্থির করিয়া তাঁহার উপর বিদ্বেষ প্রকাশ ও তাঁহার দুর্নাম রটনা করিতে লাগিলেন। ইহাতে রামগোপাল আত্ম-পক্ষ সমর্থন ও সাহেবদিগের অনৈসর্গিক বাসনার বর্ণন করিয়া চল্লিশ পৃষ্ঠা পরিমিত একখানি পুস্তিকা বাহির করেন। তাহা দেশ বিদেশ সর্ব্বত্র সমাদৃত হইয়াছিল। বাঙ্গালীর অনুকূলে উপরি উক্ত আইনটী প্রস্তাবিত হইয়াছিল বলিয়া, সাহেবরা উহাকে “ব্ল্যাক একট্” বলিতেন। এই নাম এখনও জনসমাজে পরিচিত।
তিনি এদেশের শিক্ষোন্নতি সম্বন্ধে অনেক পরিশ্রম করিয়া গিয়াছেন। তিনি, শিক্ষা বিভাগের প্রধান কর্মচারী ড্রিঙ্ক্ ওয়াটার বেথুন্ সাহেবের দক্ষিণ হস্ত ছিলেন। শিক্ষা সম্বন্ধে যেখানে যে কিছু হিতকর অনুষ্ঠান হইত, রামগোপাল সর্ব্বত্রেই প্রধান উদ্যোগী ছিলেন। হুগলী কলেজের উন্নতি পক্ষে তিনি অনেক চেষ্টা করিয়াছেন। বিশেষ কোন কার্য্যোপলক্ষে তিনি হেলিডে, বিডন, গ্রাণ্ট, ডালহৌসী, ম্যাডক্ প্রভৃতি মহামান্য সাহেবদিগের পার্শ্বে উপবিষ্ট হইয়া সহযোগিতা করিতেন। এতদ্ব্যতীত যেখানে যত, কি রাজনৈতিক, কি সামাজিক সভা ছিল, কিম্বা হিতকর কার্য্যের অনুষ্ঠান বা অনিষ্টকর নিয়মাদির পরিবর্ত্তন অন্য সময়ে সময়ে যেসকল সভাধিবেশন হইত, সর্ব্বত্রেই রামগোপালের