পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রামগোপাল ঘোষ।
১৭৭

তাহা সহর হইতে অনেক দূর,—দক্ষিণ দিগ্বর্ত্তী। সে স্থানে ঐ ঘাট হইলে, যথা সময়ে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পাদনে সহরস্থ লোকের যারপর নাই ক্লেশ ও অসুবিধা হইবে, কমিটী তাহা বিবেচনা করেন নাই। দেশের অনেক লোকে এই বিপদ হইতে রক্ষা পাইবার জন্য রামগোপালকে ধরিলেন। হিন্দুরা, যথাবিহিত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ব্যাঘাতে ধর্ম্ম হানিরও শঙ্কা করিয়াছিলেন। রামগোপাল নিজে ইহার জন্য ভীত হয়েন নাই। মৃত্যুর পর তাঁহার শব সমাহিতই হউক কিম্বা দগ্ধই হউক, তিনি তাহা কিছু ভাবিতেন না। কিন্তু দেশস্থ ব্যক্তিগণের জন্য দুঃখিত হইলেন। তিনি বাক্-পটুতরূপ সুতীক্ষ অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া এযুদ্ধেও জয়লাভ করিলেন। নিমতলার ঘাট, নিমতলায়ই রহিল।

 ইহার পর হইতে রামগোপালের স্বাস্থ্যভঙ্গ হইতে লাগিল। তিনি সর্ব্ব প্রকার চিন্তা ও কাজ কর্ম্মের গোল যোগ ত্যাগ করিয়া নির্জ্জন বাসে উৎসুক হইলেন। ক্রমে অত্যন্ত পীড়িত হইয়া পড়িলেন। এই সময়ে সম্বাদ পাইলেন যে, ১২৭৩ সালের দুর্ভিক্ষে যে সকল অনাথ বালক বালিকা গবর্নমেণ্টের হস্তে পতিত হইয়াছিল, তাহাদিগকে খৃষ্টান মিসনরিগণের শিক্ষাধীনে সমর্পণ করিবার প্রস্তাব হইতেছে। তিনি পার্শ্ববর্ত্তী বন্ধুগণকে কহিলেন, “এই প্রস্তাবের একাংশে উত্তম