পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮০
চরিতাষ্টক।

একবার তাঁহার মাতার নৈবেদ্য ফিরাইয়া দেন। জননী ইহাতে যারপর নাই, মনে ব্যথা পান। রামগোপাল তাহা জানিতে পারিয়া প্রত্যেক নৈবেদ্যের উপর যোলটী করিয়া টাকা দিলেন। তখন, রামগোপালকে বারম্বার আশীর্ব্বাদ করিয়া ব্রাহ্মণ ঠাকুরেরা নৈবেদ্য লইলেন। রামগোপালের জননী সন্তুষ্ট হইলেন।

 রামগোপালের জীবন-চরিত সংক্ষেপে একরূপ বর্ণিত হইল। এখন তাঁহার জীবনী সম্বন্ধে সাধারণতঃ কয়টী কথার উল্লেখ করিব। রামগোপাল লোক হিতৈষী বিচারক্ষম, বহুদর্শী, শিক্ষানুরাগী, ন্যায়পরায়ণ, কুসংস্কার বিহীন, দয়ালু, ক্ষমাশীল, স্বাধীন প্রকৃতি, মিত্রানুরাগী ও সত্যবাদী ছিলেন। এতদ্ব্যতীত তাঁহার মনুষ্যোচিত আরও অনেক গুণ ছিল। তিনি পল্লবগ্রাহী পণ্ডিত ছিলেন না, ইংরাজী ভাষায় তাঁহার গভীর জ্ঞান ছিল। বিখ্যাত মাউএয়েট সাহেব বলিতেন,—“রামগোপালের পরবর্ত্তী বাঙ্গালীদিগের রামগোপালের অনুকরণ করা উচিত।” কখন তাঁহার উদ্দেশ্যের অসাধুতা প্রকাশ পায় নাই। কাহার সহিত ব্যবহারে কখন তিনি আপন ক্ষমতার অপব্যবহার করেন নাই। তিনি অন্তরের সহিত স্বদেশকে ভাল বাসিতেন। লোক হিতকর কার্য্যের অনুষ্ঠানই, তাঁহার ধর্ম্মবুদ্ধির প্রধান কর্তব্য ছিল। তিনি বালক কালে সতীর্থগণের সঙ্গে খেলা।