তোমার অধিকার নাই। পৈতৃক বিষয়ের মধ্যে এক খানি তৃণাচ্ছাদিত ক্ষুদ্র কুটীর উহা ভাগ করিয়া লইতে পার।
রামকান্ত বলিলেন, তা কেন হবে। যিনি ইচ্ছা, উপার্জ্জ্বন করুন, একান্নবর্ত্তী ভ্রাতৃ-গণের সকলেই সমান অংশী। অতএব এই সমস্ত বিষয়েরই অর্দ্ধাংশ আমার প্রাপ্য।
বাণেশ্বর বলিলেন, সে কেমন কথা। আমি উপার্জ্জ্বন করিয়াছি, তুমি লইবে কেন? আমি কখন অংশ দিব। না। তবে আমাকে রাজ দ্বারে অভিযোগ করিতে হইল, বলিয়া রামকান্ত গৃহ হইতে বহির্গত হইলেন।
কয়েক মাস পরে বাণেশ্বর একদিন নিমন্ত্রণে যাইবার জন্য গঙ্গাপার হইতেছেন, এমন সময়ে এক জন শ্মশ্রু ও লোহিত পরিচ্ছদধারী পুরুষ আপনাকে নবাবের পেয়দা বলিয়া পরিচয় দিয়া খেয়ার নৌকা ডাকিতে লাগিল। মাজী ভয়ে কম্পমান। নবাবের পেয়দা ডাকিতেছে, কি করে আধাগাঙ গিয়াও নৌকা ফিরাইয়া আনিল। নবাবের পেয়াদা দেখিয়া বাণেশ্বরের বাক্শক্তি রুদ্ধ হইয়া গিয়াছে, কাঁপিতেছেন।
নৌকা কুলে লাগিল। পেয়াদা নৌকায় উঠিয়া বাণেশ্বরের দিকে ঘন ঘন তাকাইতে লাগিল। বাণেশ্বর বক্র লোচনে এক এক বার দেখিতেছেন; আর হৃদয়ের খানিক খানিক রক্ত শুকাইয়া যাইতেছে। পেয়দা হঠাৎ