পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮৪
চরিতাষ্টক।

কাব্য শাস্ত্রে অনুরাগ দেখিয়া এই সময়ে তাঁহার অধ্যাপকেরা তাঁহাকে “কাব্যরত্নাকর” এই উপাধি দেন। কিন্তু কোন্ সময়ে কি কারণে তাঁহার “তর্কালঙ্কার” উপাধি হয়, জানা যায় না।

 দুই বৎসর অলঙ্কার পড়িয়া কিছু কাল জ্যোতিষ ও দর্শনশাস্ত্রের আলোচনা করেন। ইহার পর স্মৃতির শ্রেণীতে পাঠারম্ভ করেন। তিন বৎসর কাল এই শ্রেণীতে পড়িয়া স্মৃতির পরীক্ষা দেন। ঐ পরীক্ষায় এক শত একুশ প্রশ্ন প্রদত্ত হয়, তন্মধ্যে মদনমোহন আটচল্লিশটা প্রশ্নের সুন্দর উত্তর দিয়াছিলেন। তদপেক্ষা অধিক আর কেহই লিখিতে পারেন নাই। ঐ পরীক্ষায় তিনি এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর উত্তীর্ণ হইয়া প্রশংসা পত্র লাভ করেন। মদনমোহন স্মৃতির শ্রেণীতে পড়িবার সময় “বাসবদত্তা” নামক এক খানি বাঙ্গালা কাব্য পদ্যে প্রণয়ন করেন। এই সময়ে তাঁহার বয়ঃক্রম একুশ বৎসর মাত্র। ইহা সংস্কৃত “বাসবদত্তার” গল্প লইয়া লিখিত হয়। যশোহর জিলার অন্তর্গত নওয়া পাড়ার জমিদার কালীকান্ত রায়ের প্রবর্ত্তনায় ১২৪৪ সালে উহা রচনা করেন। কেহ কেহ বলেন, “রসতরঙ্গিনী” ইহার পরের রচিত। কথিত আছে, বাঙ্গালা কবিতা রচনা বিষয়ে ভারতচন্দ্রকে পরাজিত করিবার বাসনায় তিনি “বাসবদত্তা” রচনা করেন। কিন্তু পরিশেষে উভয় রচনার তুলনা করিয়া