পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জজ্ শম্ভু নাথ পণ্ডিত।
১৯৯

বুদ্ধি প্রভাবে তৎসম্বন্ধীয় সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয় সকল অতি সহজে বুঝিয়া তাহাতে আবশ্যকমত তর্ক বিতর্ক করিতে পারিতেন। জানিয়া শুনিয়া একবর্ণ মিথ্যা কহিতেন না, কাহার মোকর্দ্দমার কোন অংশে কিঞ্চিৎ মাত্র অন্যায় আছে জানিতে পারিলে উহা কদাচ গ্রহণ করিতেন না। অসঙ্গতি নিবন্ধন কাহাকে অত্যাচারের প্রতিকারে অসমর্থ দেখিলে তিনি বিনা অর্থ গ্রহণে তাহার মোকর্দ্দমা করিয়া দিতেন। এমন স্থলে কখন কখন ষ্ট্যাম্প প্রভৃতির ব্যয়ও স্বয়ং প্রদান করিতেন। মোকদ্দমা সকলের বাস্তবিক যেরূপ নিম্পত্তি হইবার সম্ভাবনা, অর্থী প্রত্যর্থীর অপ্রিয় হইলেও তাহাই বলিতেন, তাহাদিগকে সন্তুষ্ট ও আশ্বস্ত করিবার জন্য কখন তাহার অন্যথা করিতেন না। এই সকল কারণে তিনি অতি শীঘ্রই একজন সত্য ও ন্যায় পরায়ণ, কার্যদক্ষ এবং দয়াবান্ উকিল বলিয়া সর্ব্বত্র বিখ্যাত ও আদৃত হইয়া উঠিলেন। এইরূপ আচরণে যদিও তাঁহার আয়ের অল্পতা হইতে লাগিল, কিন্তু বিশুদ্ধ ব্যবহার গুণে সকল শ্রেণীস্থ লোকেরই বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার পাত্র হইয়া উঠিলেন এবং তজ্জন্য এত অধিক সম্মান লাভ করিয়াছিলেন যে, উকিল মোক্তারের ভাগ্যে সেরূপ প্রায় ঘটে না। তাঁহার ব্যবহারজ্ঞতা দর্শনে কখন কখন সাহেবরাও বিস্মিত হইতেন। যাহা হউক,