পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৪
চরিতাষ্টক।

 যাহা হউক, এইরূপ সম্ভ্রম, সুখ্যাতি ও সদ্বিবেচনা সহকারে এ দেশীয় অত্যুচ্চ আদালতে সদ্বিচার সম্পাদন দ্বারা দেশের মুখোজ্জল করিতেছিলেন এবং স্বদেশীয়গণের উন্নতি আশা বর্দ্ধিত করিতেছিলেন, এমন সময়ে তাঁহার সামান্য জ্বর ও একটী বিস্ফোটক হইল। ক্রমাগত তিন সপ্তাহ শয্যাগত থাকিয়া ১২৭৪ সালের (১৮৬৭ খৃঃ) ২৪ জ্যৈষ্ঠ প্রাতঃকালে ইহলোক পরিত্যাগ করেন। তাঁহার মৃত্যুতে দেশীয় ও বিদেশীয় জনগণ কিরূপ, অভিপ্রায় প্রকাশ করিয়াছিলেন তাহার অধিকাংশ, তৎকালীন কোন সম্বাদপত্র হইতে নিম্নে উদ্ধত করিলাম।

 “তাহার পীড়া সাংঘাতিক আকার ধারণ করা অবধি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পর্যন্ত তাঁহার বাটীতে অষ্ট প্রহরই শোকার্ত্ত বন্ধুর মহাজনতা হইয়াছিল। মৃত্যুর কিছুকাল পরেই যখন পরিজন ও পরমাত্মীয়ের মৃত দেহের চতুষ্পার্শ্বে হাহাকার রবে বক্ষে করাঘাত করিতেছে অথবা ভূমিতে মুর্চ্ছিত হইয়া পড়িতেছে, যখন শতশত আত্মীয় স্বজন বাটীর ভিতরে বাহিরে সর্ব্বত্র “কি হলো! কি! সর্ব্বনাশ!” এইমাত্র শব্দ উচ্চারণ করিতেছে এবং নয়নজলে সকলের বক্ষঃস্থল ভাসিতেছে, যখন ভবানীপুর ও কলিকাতার পল্লীতে পল্লীতে গলিতে গলিতে “কি দুঃখের বিষয়! কি দুরদুষ্ট! দেশের কি দুঃভাগ্য” এইরূপ শব্দ সকলের মুখ হইতে বিনির্গত হইতেছে,