পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জজ্ শম্ভ‌ুনাথ পণ্ডিত।
২০৯

পরাধী থাকাই তাহার জীবনের ব্রত ছিল। মৃত্যুর পূর্ব্ব দিন কোন বন্ধু, চিকিৎসকপরিবর্ত্তনের প্রস্তাব করিলে বন্ধুর হস্ত ধরিয়া কাতরস্বরে কহিলেন,—“প্রাণ যাউক, তথাপি যেন মান রক্ষা হয়। মরিবার সময় যেন কাহার মনে কষ্ট দেওয়া না হয়।” নিয়োজিত চিকিৎসকের জবাব দিয়া গিয়াছেন জানিতে পারিলে তবে অন্য চিকিৎসক ডাকিতে অনুমতি করেন। তথাপি পুনঃ পুনঃ বলিয়া ছিলেন,—“কেই যেন আমার উপর কষ্ট না হন।”

 পাঠকগণ দেখুন! তাহার কয়েকটী গুণ পাশাপাশি করিয়া দেখুন! শম্ভুনাথের চরিত্র কেমন অদ্ভুত! এক দিকে শিশুর সারল্য,—অন্যদিকে বৃদ্ধের গাম্ভীর্য্য; এক দিকে অসাধারণ ক্ষমতা,—অন্যদিকে অকপট নম্রতা; একদিকে ঐশ্বর্য্য,—অন্যদিকে দীনভাব; একদিকে বহুলোকের সহিত আলাপ,—অন্যদিকে সকলেরই প্রণয় লাভ; একদিকে অসামান্য পাণ্ডিত্য, —অন্য দিকে চিত্তরঞ্জক সুসামাজিকতা। এতাদৃশ বিসদৃশ গুণগ্রামের একাধার প্রায় দেখা যায় না।

 তিনি একেশ্বরবাদী ব্রাহ্ম ছিলেন। ভবানীপুর ব্রাহ্মসমাজের সভাপতিত্ব, তিনিই করিতেন। ধর্ম্ম বিষয়িনী চিন্তা ও আলোচনায় তাঁহার বিশেষ অনুরাগ ছিল। ধর্ম্ম বিষয়ে কথা কহিতেন, অন্যত্র প্রায়ই নীরব