পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

রামদুলাল দে[১]

দমদমার অনতিদূরে রেক‍্জানি নামক এক খানি অতি ক্ষুদ্র গ্রাম ছিল। উহা এত ক্ষুদ্র যে, কলিকাতার আধিবাসিগণ উহার নামও জানিতেন না। ঐ গ্রামের সমস্ত অধিবাসীই কৃষিকার্য্য দ্বারা জীবিকা নির্ব্বাহ করিত। খৃষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্য ভাগে বলরাম সরকার নামক এক জন গ্রাম্য গুরু মহাশয় ঐ গ্রামে বাস করিয়া কৃষক বালকদিগকে শিক্ষা দিতেন। পরিস্কৃত, হস্তাক্ষরই, তাঁহার এক মাত্র বিদ্যা ছিল। এই শিক্ষাদানের উপর্জ্জন, কিঞ্চিৎ শস্য ব্যতীত আর কিছুই হইত না। তিনি কিছু নগদ অর্থ উপার্জ্জনের প্রত্যাশায় বলদের পিঠে খড় বোঝাই দিয়া সপ্তাহের মধ্যে দুই দিন কলিকাতায় গমন করিতেন। ঐ খড় অতি অল্প মূল্যে বিক্রীত হইত। পূর্ব্বোক্ত শস্য এবং এই যৎকিঞ্চিৎ অর্থ দ্বারা অতি ক্লেশে কালযাপন করিতেন। সময় দোষে


  1. ১৮৬৮ খৃষ্টাব্দের ১৪ মার্চ্চ বেলুড়নিবাসী বাবু গিরীশ চন্দ্র ঘোষ ইহাঁর জীবনচরিত অবলম্বন করিয়া হুগলী কলেজ গৃহে ইংরাজী ভাষায় এক দীর্ঘ বক্তৃতা করেন। ঐ বক্তৃতা পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়। এ স্থলে ঐ পুস্তকাবলম্বনে রামদুলালের জীবনচরিত লিখিত হইল।