পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
চরিতাষ্টক।

এতাদৃশ দুঃখের ভাতও, সুখে খাইতে পরিতেন না। যন্ত্রনাদায়ক দারিদ্র্য ক্লেশের সহিত যুদ্ধের মহাভয় সংযোজিত হইয়াছিল। সেই সময়ে এই দেশ, বর্গীর হঙ্গামে সতত উপদ্রুত হইতেছিল। ১১৪৮-৪৯ সালের মধ্যে মহারাষ্ট্রীয় সৈন্য বঙ্গদেশ আক্রমণ করে। তাহদের এই অত্যাচার, ক্রমাগত দশবৎসর চলিয়াছিল। ১১৫৮-৫৯ সালে যখন তাহারা বঙ্গদেশকে শেষ আক্রমণ করে; তখন বলরাম অবশিষ্ট গ্রামবাসিগণের সহিত প্রাণ রক্ষার্থ পলায়ন করেন। তাঁহার সম্পত্তি কিছুই ছিল। না, কেবল এক গর্ভবতী স্ত্রী সঙ্গে ছিল। অত্যাচারিদলের অধিকার হইতে বহু দূরস্থিত এক প্রান্তরে উপস্থিত হইয়া ঐ গর্ভবতী স্ত্রী আকবরের ন্যায়; এক পুত্র প্রসব করিলেন। এই পুত্রের নামই রামদুলাল।

 বলরাম, রামদুলালকে শুভঙ্করী বাঙ্গালা কি তাঁহার সুন্দর হস্তাক্ষর কিছুই শিখাইতে পারেন নাই; যেহেতু পুত্র জন্মের কয়েক বৎসরের মধ্যেই তাঁহার মৃত্যু হয়। রামদুলালেয় পিতার মৃত্যুর কিঞ্চিৎ পুর্বেই তাঁহার মাতার মৃত্যু হইয়াছিল। রামদুলালের পিতা মাতা যে, কেবল তাঁহাকেই নিরাশ্রয় করিয়াছিলেন তাহা নহে, আর একটি পুত্র এবং আর একটী কন্যার প্রতিপালনের ভারও তাঁহার উপর দিয়া গিয়াছিলেন। এই তিন অপোগণ্ড সাহায্যার্থী হইয়া কলিকাতানবাসী মাতামহ