পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রামদুলাল দে।
১৯

রামসুন্দর বিশ্বাসের কুটীরে উপস্থিত হইল। তখন কলিকাতার অবস্থা আর এক প্রকার ছিল; তখন উহা এখনকার ন্যায় সমৃদ্ধিশালিনী রাজধানী হয় নাই, তখন উহা ইংরাজ বণিকগণের বাণিজ্য স্থান মাত্র ছিল।

 হিন্দু জাতির সামাজিক ব্যবস্থা এমনই চমৎকার যে, কোন আত্মীয় অন্নকষ্টে পতিত হইলে কোন হিন্দুই তাহাকে সাহায্য না দিয়া থাকিতে পারেন না। “আমি এক মুষ্টি পাইলে—তুমিও পাইবে।” এ কথা হিন্দুমাত্রেরই চিরাভ্যস্ত। হিন্দুজাতি এইরূপ সদয় ব্যবহারে চিরশিক্ষিত। অন্নার্থী ভিক্ষু, দ্বার হইতে বিমুখ হওয়া হিন্দুজাতির বিষম গালি স্বরূপ। এই জন্যই, রামসুন্দর বিশ্বাসের অবস্থা অতি হীন, এমন কি দৈনন্দিন মুষ্টিভিক্ষা তাঁহার উপজীবিকা হইলেও তিনি সেই অপোগণ্ডদিগকে সাদরে বহুমধ্যে গ্রহণ করিলেন। তাঁহার মুষ্টিভিক্ষা দ্বারা নিজ সন্ততিগণের ভরণপোষণ হওয়াই কঠিন হইত; এখন আবার কন্যার সন্ততিগণও তাঁহার পোষ্য মধ্যে গণিত হওয়ায়, রামসুন্দর দ্বিগুণ উৎসাহ ও ক্লেশের সহিত ভিক্ষায় প্রবৃত্ত হইলেন।

 রাম দুলালের মাতামহীও শ্রমকাতর ছিলেননা। তিনি ভাড়ানীর কর্ম্ম দ্বারা কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ উপার্জ্জন করিয়া স্বামীর সাহায্য করিতেন। ভিনি, তাঁহার স্বোপার্জিত তণ্ডলের সমুদায়ই যে, আপনার ও