পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রামদুলাল দে।
২৫

কাতা প্রদেশের সকল অংশেই উহার দেনা পাওনা হইয়াছিল। ঝড় নাই, বৃষ্টি নাই, রৌদ্র নাই, ঐ পাওনা আদায়ের জন্য প্রতিদিনই রামদুলালকে পদব্রজে নানা স্থান ভ্রমন করিতে হইত। কলিকাতা হইতে বারাকপুর কিম্বা টিটেগড় ইহা তাঁহার সামান্য ভ্রমণ ছিল। রামদুলালের আনীত বিলের প্রতি, যদি এই সকল স্থানের কোন দেন‍্দারের কিছু সন্দেহ উপস্থিত হইত, রামদুলাল তৎক্ষণাৎ দ্রুতপদে গমন করিয়া আপনার নিয়োগ কর্তার নিকট হইতে তাহার খোলাসা আনিয়া সেই দিনই দেন‍্দারকে বুঝাইয়া দিতেন। এক দিন দমদমার কোন সৈনিক পুরুষের নামে অনেক টাকার এক খানি বিল হিল। সাহেবেরা সচরাচর গরীবের দুঃখ বুঝিতে পারেন না। সুতরাং ঐ সাহেব রামদুলালকে টাকা দিতে বিলম্ব করিলেন। প্রথমাবস্থায় রামদুলালের বীরের ন্যায় সাহস ছিল; সেই এক রাশি টাকা লইয়া সন্ধ্যার পর কলিকাতাভিমুখে যাত্রা করিলেন।

 এই সময়ে কলিকাতার উপনগর সকলে অত্যন্ত দস্যুভয় হইয়াছিল। পলাশীর যুদ্ধে অপরাধী হইয়া যে সকল সৈন্য তাড়িত হইয়াছিল, তাহারাই এই স্থানে অত্যাচার করিত, দমদমা হইতে কলিকাতার পথ অদ্যাপি নিরাপদ নহে। রামদুলাল কিয়দ্দূর গিয়া আশ্রয় গ্রহণে ইচ্ছুক হইলেন। কিন্তু তিনি তৎকালীন সমাজের দূষিত