পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
চরিতাষ্টক।

অবস্থা উত্তমরূপে অবগত ছিলেন। ভাবিতে লাগিলেন যদি কাহার বাড়ী যাই, আর হঠাৎ সে আমার টাকার কথা জানিতে পারে, তাহা হইলে রাতারাতি বড় মানুষ হইবার আশয়ে সহজেই আমার প্রাণ নাশ করিয়া অর্থ গ্রহণ করিবে। অতএব তিনি কাহারও বাড়ী গমন করিবার ইচ্ছা ত্যাগ করিলেন। অতিরিক্ত বস্ত্রাদি পরিত্যাগপূর্ব্বক ফকির বেশে টাকার থলি মাতায় দিয়া তরুতলে শয়ন করিলেন। নয়নে নিদ্রা নাই; পেচক ও শৃগালের ভীষণ চীৎকার শুনিতে শুনিতে রজনী প্রভাত হইল। নিশার নৈরাপদনিবন্ধন জগদীশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়া গাত্রোথান করিলেন।

 এই সকল কার্য্য দ্বারা রামদুলালের সদ‍্‌গুণ বিষয়ে মদনমোহন দত্তের দৃঢ় বিশ্বাস হইল। এখন রামদুলালের বেতন পাঁচ টাকামাত্র ছিল; কিন্তু তিনি বিলসরকারের এই সামান্য বেতন হইতেও অসাধারণ মিতব্যয়িতা দ্বারা এক শত টাকা সঞ্চয় করিয়াছিলেন। এক শত টাকা কিছু দুঃখীর পক্ষে নিতান্ত অল্প নহে। তিনি যে কেবল আপনার সুখসচ্ছন্দতা বৃদ্ধি জন্য তাদৃশ ক্লেশ স্বীকার করিয়া অর্থ সঞ্চয় করিয়াছিলেন, তাহা নহে তিন বাগবাজারের কোন কাঠের আড়তে ঐ টাকা জমা রাখিয়াছিলেন। এত কাজের মধ্যেও প্রতিদিন এক এক বার আড়তে যাইবার সময় করিয়া লইতেন। উহার