পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রামদুলাল দে।
৩৩

দৃশ ভাগ্য পরিবর্ত্তনে তাঁহার মন পরিবর্ত্তিত হয় নাই। তিনি এই মূল ধন অবলম্বন করিয়া কলিকাতার মধ্যে অদ্বিতীয় ধনী হইয়াছিলেন; তথাপি মদনমোহন দত্ত যত দিন জীবিত ছিলেন, সামান্য চাকরের মধ্যগত হইয়া তাঁহার নিকট হইতে সেই দশ টাকা বেতন লইয়া আসিতেন। এবং এক দিনের জন্যও পূর্ব্ববৎ ভক্তি ও কৃতজ্ঞতা প্রদর্শনে ত্রুটি করেন নাই। এমন কি! তিনি অত্যন্ত উন্নতির সময়েও পাদুকা ত্যাগ ও হস্তদ্বয় বক্ষবদ্ধ করিয়া মদন দত্তের গৃহে প্রবেশ করিতেন। ঐশ্বর্য লাভ বিষয়ে তাঁহার মনের ভাব এই রূপ ছিল যে, সৌভাগ্যের সময়ে দুর্ভাগ্যের দিন সকল মনে করা সকলেরই উচিত।

 এই লক্ষ টাকাই রামদুলালের সকল সৌভাগ্যের মূল। তিনি এই টাকাটী, কেবল একটি বিশ্বাসের কার্য্য দ্বারা উপার্জ্জন করিয়াছিলেন, যে বিশ্বাস অধুনাতন বণিক সমাজে উপন্যাস হইয়াছে। বিবেচনা পূর্ব্বক ব্যবসায় দ্বারা তিনি ঐ টাকা এত বাড়াইয়াছিলেন যে, প্রতিদিন রাজার ন্যায় ব্যয় করিয়াও মৃত্যু কালে এক কোটি তেইশ লক্ষ টাকা রাখিয়া গিয়াছিলেন। কিন্তু এই বিপুল বিভব, তাঁহার উত্তরাধিকারিগণের অনভিজ্ঞতা, অক্ষমতা, এবং বিলাসলালসায়, এক্ষণে কয়েক লক্ষ টাকায় পেঁছিয়াছে। তাঁহার ভদ্রতা প্রযুক্ত, ক্রমে তিনি বণিক্ সম্প্রদায়ে