পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪০
চরিতাষ্টক

তাঁহার কীদৃশ গড়ানুরাগ ছিল, তাহা উত্তম রূপে জানা যাইবে।

 যখন রামদুলাল আপনার ক্রীত রাশীকৃত মরিচ। বিক্রয়ার্থ রক্ষা করিতেছিলেন, এবং যাহা বিক্রয় হইবে কিনা সে বিষয়ে লোকে সংশয় করিতেছিল; সেই সময়ে এক জন ইউরোপীয় তাঁহার নিকট বহু সহস্র মন মরিচ বন্ধক রাখিয়া টাকা ঋণ লইবার প্রস্তাব করেন। রাম দুলাল বলিলেন, উপযুক্ত মূল্যে সাহেবের সমস্ত মরিচ তিনি ক্রয় করিতে প্রস্তুত আছেন, বন্ধক রাখিয়া টাকা দিবেন না। কারণ তিনি ভাবিয়া ছিলেন যে, সাহেবের মরিচ গুলি কোষসাৎ করিতে পারিলেই মরিচের বাজার তাঁহার একচেটে করা হইবে। তাদৃশ ক্ষমতাপন্ন ও চতুর বণিকের মুখে ঐ কথা শুনিয়া মরিচ ছাড়িতে সাহেবের সাহস হইল না। তিনি অনেক ক্ষণ ভাবিয়া শেষে, বিবেচনা করিবার সময় লইয়া প্রস্থান করিলেন। ইতিমধ্যে কলিকাতায় মরিচের বাজার উঠিল। রামদুলাল, মরিচে যে টাকা নিয়োজিত করিয়াছিলেন, তাহার চার গুণ লাভ লইয়া সমস্ত মরিচ বিক্রয় করিয়া ফেলিলেন। কিছু দিন পরে, পূর্ব্বোক্ত সাহেব রামদুলালের নিকট আসিয়া পূর্ব্ব বাজারদরে তাহার সমস্ত মরিচ বিক্রয় করিলেন। এই বিক্রয়, এমন যথা বিহিত রূপে হইয়াছিল যে, রামদুলাল তাঁহার মরিচ হইতে যথেষ্ট লাভ করিয়াছেন