পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রামদুলাল দে।
৫১

তাঁহার এত বলবতী ছিল যে, তিনি পরের দুঃখ অনুসন্ধান জন্য বেতন-ভুক্ চাকর নিযুক্ত করিয়াছিলেন। তিন জন দেশীয় চিকিৎসক, রামদুলালের ব্যয়ে পল্লীর পীড়িত গণের চিকিৎসা ও ঔষধ দানে নিযুক্ত ছিল। তিনি স্বয়ং প্রতি রবিবারে সহচরগণ সমভিব্যাহারে প্রতিবেশী ও ভৃত্যগণের গৃহে ২ ভ্রমণ করিয়া তাহাদের অভাব ও দুঃখ দেখিতেন। এইরূপ অসাধারণ সদয় ব্যবহার দ্বারা তিনি সকল শ্রেণীর প্রিয় ও প্রতিবাসিগণের পিতা স্বরূপ হইয়াছিলেন।

 ক্ষুধার্ত্তকে অন্ন ও পীড়িতকে ঔষধ পথ্য দান এবং বিপন্নকে বিপদুর্দ্ধার করা ইত্যাদি বিষয়ে অর্থ ব্যয়কেই সচরাচর লোকে উৎকৃষ্ট দান বলিয়া থাকে। যাহার সৎকার্য্যে দান করিবার ইচ্ছা থাকে, তিনি উপরি উক্ত বিষয় সকলেই দান করিয়া থাকেন। রামদুলালের দানপ্রণালী ইহাপেক্ষাও উদার ছিল। এ সকলত ছিলই; ইহা ব্যতীত অন্যান্য স্থায়ী বিষয়েও তাঁহার অনেক দান ছিল। ইহার কয়েকটি উদাহরণ পূর্ব্বে দেওয়া গিয়াছে। আর একটা এই; তাঁহার জনৈক বন্ধু ও কর্ম্মচারী কাশীনাথ ঘোষ নামক কোন ব্যক্তি রামদুলালের গৃহ পুষ্করিণীর ধারে একটি একফুট মাত্র প্রশস্ত কোটার ভিত্ নির্ম্মণ করিতেছিলেন। রামদুলাল তদ্দর্শনে কাশীনাথকে অধিকতর দৃঢ় করিয়া ভিত্তি নির্ম্মণ করিবার পরামর্শ