পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রামদুলাল দে।
৫৩

অসংখ্য পিপীলিকা ধরিয়াছে, এমন একটি মৃত কপোত পথে পড়িয়াছিল, বাতুল তাহাই দেখাইল। রামদুলালের জনৈক পারিসদ বলিয়া উঠিলেন, “তুই পাগল, দেখিতেছিস না;—এ,—একটা মৃত কপোত?” বাতুল উত্তর করিল,—“পাজি, তুই চুপকর; তোকে আমি জিজ্ঞাসা করি নাই।” রামদুলাল, উত্তম রূপে দেখিয়া স্মিত মুখে কহিলেন,—“কাশী এটি মৃত কপোত নয় ত কি?”, বাতুল পুনর্ব্বার উত্তর করিল,—“এই কপোত মৃত? তুমি ইহাকে মৃত বলিতে পার! যে লক্ষ লক্ষ ক্ষুধার্ত্তের মুখে আত্ম শরীর দান করিতেছে, সে মৃত? আর তুমি নিভৃত বারেণ্ডায় বসিয়া নিশ্চিন্ত ভাবে মুখ ধুইতেছে, তুমি জীবিত?” রামদুলাল যেন পাগলের এই কথার অপেক্ষা করিতেছিলেন। তিনি সেই দিনই বেলগাছিয়ায় এক অতিথি শালা স্থাপন করিলেন। ঐ স্থানে অদ্যাপি সহস্র ২ ব্যক্তি প্রতিদিন রামদুলালের ব্যয়ে আহার পাইতেছে। সেখানে, এমন সুব্যবস্থা আছে যে, চণ্ডাল হইতে ব্রাহ্মণ পর্যন্ত কাহারই তথায় আতিথ্য গ্রহণে আপত্তি হইতে পারে না। এতদ্ব্যতীত রামদুলালের নিজ গৃহে প্রত্যহ পাঁচশতেরও অধিক লোক আহার করিত। তাঁহার ভৃত্যগণের প্রতি এইরূপ আদেশ ছিল, কোন ভিক্ষু এক মুষ্টি চাহিলে, তাহাকে ভিক্ষাভাজন পূর্ণ করিয়া ভিক্ষা দিবে। কোন ব্যক্তি