পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রামদুলাল দে।
৬১

কাটুন। ইতস্ততঃ করেন কেন?” রামদুলাল হাসিলেন। এবং ব্রাহ্মণকে একটী সিপ‍্সরকারের কর্ম্ম দিলেন।

 অপর এক জন ব্রাহ্মণ টাকা পাইবে বলিয়া তাঁহার নামে লালিস করে। তিনি কাহার নিকট এক কপর্দ্দকও ঋণী ছিলেন না; বরং ঐ ব্রাহ্মণের নিকট হইতে তিনিই অনেক টাকা পাইতেন। রামদুলাল ব্রাহ্মণকে জাল খৎ ও মিথ্যা সাক্ষী দ্বারা মোকর্দ্দমা চালাইতে দেখিয়া বাদীর প্রার্ত্থিতসমুদায় টাকা অবাধে প্রদান করিতে চাহিলেন। ঐ টাকার পরিমাণ ২৪০০০ হাজার। তাঁহার আত্মীয়গণ, অকারণে এত অর্থ অপব্যয় করিতে নিষেধ করিলে রাম দুলাল কহিলেন, “আমি এমোকর্দ্দম চালাইলে নিশ্চয়ই ব্রাহ্মণ জালিয়াতে পড়িবে। ব্রাহ্মণের অনিষ্ট হয়, আমি এরূপ করিতে পারিব না। ২৪০০০ হাজার টাকা প্রদত্ত হইল। এক জন পৌরাণিক হিন্দু, ব্রাহ্মণের প্রতি ঐরূপ অসীম ভক্তি প্রদর্শন না করিয়া থাকিতে পারেন না। কিন্তু সকল ব্যাপারের যথা স্থানে সীমা নির্দ্দিষ্ট হওয়া উচিত। নচেৎ বহুবিধ অনিষ্ট সংঘটন হয়।

 দেনা পাওনার মোকর্দ্দমায় কেহ তাঁহাকে সাক্ষী মানিলে, তিনি কদাচ আদালতে উপস্থিত হইতেননা; বাদীর প্রার্ত্থিত সমস্ত টাকা নিজে অর্পণ করিতেন। বলিতেন,—“গঙ্গাজল স্পর্শপুর্ব্বক সাক্ষীর আসনে