পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬২
চরিতাষ্টক

দণ্ডায়মান হওয়াপেক্ষা টাকা দেওয়া ভাল। তাঁহার এই মত জানিতে পারিয়া জুয়াচোরের সময়ে২ তাঁহার অর্থ নষ্ট করিতে লাগিল। পরস্পর বিবাদের ভাণ করিয়া তাঁহাকে মধ্যস্থ স্বীকার করিত। মধ্যস্থতা সূত্রে তিনি কল্পিত মোকর্দ্দমার বিষয় অবগত হইলেই তাহারা আদালতে লালিস করিয়া রামদুলাল কে সাক্ষী মানিত। তিনি সাক্ষ্য না দিয়া টাকা দিতেন। পরে জুয়াচোরেরা এইরূপে প্রাপ্ত টাকা অংশ করিয়া লইত।

 রামদুলাল অতিশয় কৃতজ্ঞ ছিলেন। যে ব্যক্তি তাঁহার দুঃখের সময় বিন্দুমাত্র উপকার করিত, তিনি তাহা যাবজ্জীবন স্মরণ রাখিয়া উন্নতির সময় এত অধিক পরিমাণে তাহার প্রতিশোধ দিতেন যে, লোকে সেরূপ প্রতিশোধকে অনাবশ্যক জ্ঞান করিত। কোন সময়ে দোল পর্ব্বাহোপলক্ষে রামদুলালের মাতামহের কুটম্ব বাটী তত্ত্ব পাঠাইবার প্রয়োজন হয়, কিন্তু কিছুমাত্র। সংগতি না থাকায় তাঁহার অত্যন্ত কষ্ট হইতে লাগিল। রামদুলাল তখন নিতান্ত শিশু, দোকানে ধার করিবার অনেক বিফল চেষ্টা পাইলেন। হতাশ্বাসে রামদুলালের মুখ মলিন হইয়া গেল। অবশেষে কোন দয়ালু ব্যক্তি, তাদৃশ নিরাশ্রয় শিশুকে ধার দিলে পাওয়া যাইবে কি না সে চিন্তা না করিয়া তাঁহাকে যথেষ্ট সাহায্য করিলেন। রামদুলালের অন্তরে ইছা যাবজ্জীবন জাগরূক ছিল