পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৪
চরিতাষ্টক

নিকট সেইরূপ ঋণী;—সমাজের যেখানে যখন যে অভাব হইবে, তৎক্ষণাৎ তৎপুরণের চেষ্টা করিবে। এই কথাটা অধিকতর স্পষ্ট করিবার জন্য, একটী উদাহরণ দেওয়া গেল। মনে কর, দক্ষিণ হস্ত, বাম হস্তে কণ্ডূয়ন করিল, যদি কোন কালে দক্ষিণ হস্তে কণ্ডূয়নের প্রয়োজন না হয়, তবে কি বাম হস্তের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের স্থল নাই। অবশ্য আছে। সে, দক্ষিণ পদের কণ্ডূয়ন করুক। তাহাতেই তাহার কার্য্য হইবে। ফলে, উপকৃত হইয়া, উপকারী হইবার শিক্ষা লাভ করাই, বিশুদ্ধ কৃতজ্ঞতা।

 এইবার আমরা রামদুলালের একটা অধিকতর সমুজ্জ্বল কীর্ত্তির উল্লেখ করিব। তিনি যেখানকার অন্ন বস্ত্রে দুঃখের সময় প্রতিপালিত হইয়াছিলেন, যেখান হইতে লেখা পড়া শিখিয়াছিলেন, যেখান হইতে তাহার সমস্ত উন্নতির সুত্রপাত হইয়াছিল, সেই মদনমোহন দত্তের বাড়ীর কালী প্রসাদ দত্ত নামক কোন ব্যক্তি প্রকাশ্যরূপে নিষিদ্ধাচার করতে জাতিচ্যুত বা সমাজ বহির্ভূত হইয়াছিলেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় ২ কর্ত্তারা সকলেই কালী প্রসাদের বিপক্ষ। রামদুলাল তাঁহার সমন্বয় করা কর্ত্তব্য জ্ঞান করিলেন। তাঁহার বিলক্ষণ বিশ্বাস ছিল, টাকার দ্বারা সকল কার্য্যই সাধন করা যাইতে পারে। এই জন্য সগর্ব্বে অনেকের সমক্ষে বাক‍্সের উপর চপেটাঘাত করিয়া কহিলেন, “জাতি ইহার মধ্যে