পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৬
চরিতাষ্টক

বৎসর বয়স্ক একটী পুত্র সন্তান লইয়া ব্রাহ্মণ অতি কষ্টে সংসার নির্ব্বাহ করিতেন। বালকটি অতি দুষ্ট স্বভাব। একদিন প্রতিবাদী বালক গণের সহিত খেলা করিতে করিতে কে কি দিয়া ভাত খাইয়াছে, সেই কথা উঠিল। সকলের কথা ফুরাইলে একটা বালক কহিল, “আমার মা যেরূপ লাউ চিঙড়ি রাঁধিয়াছিলেন, তোমরা কেহই সেরূপ খাও লাই।” আমাদের বালক গৃহে আসিয়া মাতার নিকট লাউ চিঙ্গড়ি খাইবার প্রস্তাব করিলেন। মাতার হাতে কপর্দ্দকমাত্র নাই যে, তদ্দ্বারা মাচ ক্রয় করেন। এদিকে বালকের ভয়ানক আবদার; এমন সময়ে হঠাৎ একজন মৎস্য বিক্রয়িণী গৃহে উপস্থিত হইল। জননী, উপায়ান্তর না দেখিয়া ধারে মাচ কিনিলেন। তাহাকে বলিয়া দিলেন “ফিরিয়া যাইবার কালে দাম লইয়া যাইও।”

 লাউ চিঙড়ির যোগাড় হইল দেখিয়া গোবিন্দের আনন্দের সীমা নাই। খেলিতে বাহির হইলেন। জননী পাক প্রস্তুত করিলেন। মধ্যাহ্নকাল উপস্থিত হইল। মৎস্য বিক্রয়িণী পাড়ায় ২ মাচ বেচিয়া ফিরিয়া আইল। মাঠাকুরাণীর নিকট পয়সা চাহিল। তিনি বলিলেন,—“বাছা পয়সাত হাতে নাই,—আর একদিন লইও, —অজি এস।” ইহাতে মেছুনী অসন্তুষ্ট হইয়া যার পর নাই গালি গালাজ করিল। কেহ২ বলেন সে রন্ধন