পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গোবিন্দ চন্দ্র চক্রবর্তী।
৭৭

করা মাচ, তরকারী হইতে বাছিয়া লইয়া গিয়াছিল। ঠাকুর এই ব্যাপার অবগত হইয়া বড় বিরক্ত হইলেন। পুত্রের জন্য ছোট লোকের গালি খাইতে হইল বলিয়া স্ত্রীর সম্মুখে পুত্রোদ্দেশে অনেক তিরস্কার করিলেন। ইতিমধ্যে গোবিন্দ গৃহে আসিয়া আহার করিতে বলিলেন। গোবিন্দ মাছের তরকারীতে মাছ না পাইয়া জননীকে জিজ্ঞাসা করিলেন,—“মাছ কই?” জননী রোদন করিতে২ মেছুনীর বৃত্তান্ত বলিলেন। কেহ বলেন, কর্ত্তার আদেশে গোবিন্দকে ছাই খাইতে দেওয়া হইয়াছিল। ঘটনা যাহাই হউক, ফলে দারিদ্র নিবন্ধন এই ব্যাপার উপলক্ষে গোবিন্দের মনে একটি বিলক্ষণ আঘাত লাগিয়া ছিল। ভোজন হইতে বিরত হইয়া সেই আট বৎসর বয়স্ক বালক বলিলেন, “মা আমার নিমিত্ত ভাবিও না, যদি টাকা রোজগার করিতে পারি তবে আবার ঘরে ফিরে আসিব, নতুবা এই জন্মের শোধ বিদায় হইলাম।” এই কথা বলিয়া গোবিন্দ বাটী হইতে বাহির হইলেন।

 গোবিন্দ কোথা যাইবেন, কি করিবেন তদ্বিষয়ে লক্ষ্য স্থির নাই। ভ্রমণ করিতে২ গঙ্গাতীরে উপস্থিত ইইয়া দেখিলেন, একটী ভাল গাছে পাকীর ছা হইয়াছে। পক্ষি-শাবক গ্রহণে লোলুপ হইয়া বৃক্ষে আরোহণ করিলেন। কোটরে যেমন হস্ত প্রবেশ করাইবেন, একটী বিষধর সর্প তন্মধ্য হইতে অর্দ্ধ নিষ্ক্রান্ত হইয়া দংশনে