পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গােবিন্দচন্দ্র চক্রবর্ত্তী।
৭৯

পাইলেন। মনেৎ স্থির করেন সেই বালকই, তাঁহার উপযুক্ত শিষ্য হইবে। বালক আরব্ধ কর্ম্ম শেষ করিয়া গাছ হইতে নামিলেন। সন্ন্যাসী তাঁহাকে, ভাল হইবার আশা দিয়া, সঙ্গে যাইতে অনুরোধ করিলেন। গোবিন্দ বলিলেন, সন্ন্যাসী ঠাকুর যদি পাকীর ছা দিতে পারেন, তবে তিনি তাঁহার সঙ্গে যান। সন্ন্যাসী পক্ষিশাবকের প্রলোভন দেখাইয়া তাঁহাকে সঙ্গে লইয়া প্রস্থান করিলেন। সন্ন্যাসী তাঁহাকে মন্ত্র গ্রহণ করাইয়া, মন্ত্র সিদ্ধির উপায় বলিয়া দিলেন এবং কহিলেন, গোবিন্দ, ভবিষ্যতে অতিশয় বড় লোক হইবেন; কিন্তু অস্ত্রাঘাতে তাঁহার মৃত্যু হবে। পরিব্রাজকের এই সকল ভবিষ্যৎ বাণী সম্পূর্ণরূপে সফল হইয়াছিল। তিনি সন্ন্যাসীর সঙ্গে দিল্লী যান।

 কথিত আছে, সন্ন্যাসীর বরে বিনা যত্নে আরবী ও পারসী ভাষায় নানা বিদ্যা উপার্জ্জ্বন করিয়াছিলেন। গোবিন্দ, আরবী ও পারসী ভাষায় পণ্ডিত হইয়াছিলেন একথা যেমন সত্য; অন্যদিকে, বিনা যত্নে বিদ্যাভ্যাস না, এটাও সেইরূপ সত্য। অতএব এমন স্থলে উপরি উক্ত জনশ্রুতি, সহজেই মিথ্যা বলিয়া বোধ করা যাইতে পারে। অনুমানে ইহাই প্রতীত হয় যে, হয়, প্রোক্ত দুই ভাষায় সন্ন্যাসীর জ্ঞান ছিল, তিনি স্বয়ং গোবিন্দকে শিক্ষা দেন; না হয়, দিল্লীতে তাঁহার কাল প্রচলিত বিদ্যাশিক্ষার ব্যবস্থা করিয়া দেন। অল্প সময়ে