অনেক রাজকর্ম্মে নিযুক্ত হন। দেওয়ান অপাত্রে অনুগ্রহ বিতরণ করেন নাই। তিনি, গোবিন্দের অসাধারণ গুণ ও কার্য্য-ক্ষমতা দর্শনে মোহিত ইইয়া তাহার প্রতি অনুগ্রহ করিতে বাধিত হন। নিজের একটু মনুষ্যত্ব না থাকিলে, কেবল মাত্র পুরানুকূল্যে, কেহ প্রকৃত বড় লোক হইতে পারেন না, অনেকে সহায় নাই বলিয়া আক্ষেপ করেন, কিন্তু অকারণ সহায় অতি অল্প লোকের থাকে। যাহা হউক, গোবিন্দ, ক্রমে সম্রাটের গোচর হইলেন। এই ঘটনাতেই তাহার গুণ ও ক্ষমতার, পর্যাপ্ত পুরস্কার হইল। কার্য্য ও কারণ উভয়ে এরূপ আশ্চর্য্য সম্বন্ধ-যুক্ত যে, তাহাদের মধ্যে কিঞ্চিন্মাত্র বৈষম্য থাকিবার যে নাই। আপাত দৃষ্টিতে বোধ হইতে পারে, গোবিন্দের যেরূপ যোগাযোগ হইল, যাহার সম্বন্ধে সেরূপ হইবে তাহারই তাদৃশী উন্নতি হইবার সম্ভাবনা। কিন্তু কার্য্য কারণের ভাব পর্য্যালোচনা করিলে, বোধ হইবে, যোগাযোগ আপনি হয় না। এ সংসারে কয় ব্যক্তি, অত্যুচ্চ তালিতরু-শিখরে তাদৃশ অবস্থাপন্ন হইয়াও তাদৃশী প্রস্তুত-বুদ্ধি প্রদর্শনে সমর্থ হয়?
তৎকালীন সমাট একদা গোবিন্দকে দেখিতে চাহিলেন। দেওয়ান, সম্রাট সাক্ষাৎ করণোপ যোগী আয়োজন করিয়া দিলেন। গোবিন্দ, স্বকীয় বিদ্যা, বুদ্ধি ও কার্য্য-দক্ষতা প্রদর্শনে সম্রাটের এতাদৃশ স্নেহ ও