সন্তোষ আকর্যণ করিলেন যে, তিনি তাঁহাকে প্রার্থনার অধিক পুরস্কার দানে বাধিত হইলেন। বাদসা, “বাঙ্গালা, বিহার, উড়িষ্যা” এই তিনটি শব্দ উচ্চারণ পূর্ব্বক পদ সঞ্চালনে নিকটস্থ তিনটী তাকিয়া স্থান ভ্রষ্ট করিলেন। গোবিন্দ ইহার অর্থ কিছুই বুঝিতে না পারিয়া একপ্রকার অসন্তুষ্ট হইয়াই রাজ সভা হইতে বিদায় গ্রহণ করিলেন। দেওয়ানজীকে কহিলেন, “মহাশয়, এমন বাতুলের নিকটও আমাকে পাঠাইয়াছিলেন।”
গোবিন্দের প্রতি বাদ্সার বিশেষ অনুরাগ দেখিয়া দেওয়ানের কিঞ্চিৎ শঙ্কা হইয়াছিল, পাছে দেওয়ানী পদ গোবিন্দকে প্রদত্ত হয়। গোবিন্দের সহিত সম্রাটের সাক্ষাৎ ও “তিন তাকিয়ে ইলাম” হইয়া গেলে দেওয়ানজীর সে শঙ্কা অন্তরিত হইল।
পূর্ব্বতন মুসলমান সম্রাটদিগের সভায়, সিংহাসনের সম্মুখে ও উভয় পার্শ্বে কতকগুলি “তাকিয়া” থাকিত। ঐ সকল “তাকিয়া” ভিন্ন২ সুবার নামে অভিহিত হইত। “তাকিয়া ইলামের” অর্থ এই, কোন ব্যক্তিকে ঐ পুরস্কার দেওয়া হইলে, সে তত্তৎসুবার কোন প্রধান রাজকর্ম্ম পাইবার অধিকারী হইত। তদনুসারে গোবিন্দ বাঙ্গলা, বিহার, উড়িষ্যা এই তিন বার “ক্রোরীয়ান” অর্থাৎ রাজস্ব সম্বন্ধীয় সর্ব্বপ্রধান পদে অভিষিক্ত হইলেন। বাঙ্গালার নবাবের অধীন থাকিয়া কাজ