পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গােবিন্দচন্দ্র চক্রবর্ত্তী।
৮৭

তেছে। একথা পূর্ব্বে একবার বলা হইয়াছে;—তাঁহার দুইটিী পুত্র, রূপরাম রায় এবং মুকুটরাম রায়। কনিষ্ঠ মুকুটরাম রায়, অধিকতর বিদ্যাবান্, সদ‍্গুণশালী ও কার্যদক্ষ হইয়াছিলেন। পিতা বর্ত্তমানেই ক্রোরীয়ানের কার্য্য নিজ হস্তে গ্রহণ করেন। পিতাও তাঁহাকে সম্যক্ উপযুক্ত দেখিয়া, সকল কার্য্য তাঁহার নামে চালাইতেন। গোবিন্দের অপেক্ষা, মুকুট অধিক কাল ঐ কার্য্য সম্পন্ন করিয়াছিলেন। বোধ হয়, রাজস্ব আদায় সম্বন্ধে মুকুট, রাজগণের সহিত অধিক রুক্ষ্ম ব্যবহার করিতেন। কারণ খাজনা আদায় সম্বন্ধীয় নানাপ্রকার পীড়াপীড়ির ঘটনা, পূর্ব্বস্থলীতেই ঘটিয়াছিল, এইরূপ শুনা যায়। গোবিন্ধ পূর্ব্বস্থলীর বাটীতে অধিককাল বাস করেন নাই। প্রায় তাঁহার পরলোক সময়েই, তত্রত্য বাটী নির্ম্মিত হইয়াছিল। এতদ্ব্যতীত গোবিন্দের পূর্ব্ব নিবাস কামারকুলিতে “বারভূমের” কোন নিদর্শন পাওয়া যায় না। মুকুট রায়ের কর্ত্তৃত্বে এবং তাঁহার অভিপ্রায় মতেই পূর্ব্বস্থলীর বসতবাটী, দেবায়তন, কাছারী বাড়ী, নহবতখানা, হাওয়াখানা, ইত্যাদি “আমিরী” ধরণের বাড়ী ঘর নির্ম্মিত হইয়াছিল। এই যাবতীয় অট্টালিকাময় গৃহাদি, এক অত্যুচ্চ দুরারোহ প্রাকারে বেষ্টিত ছিল। ইহাকে “চৌদালী” কহিত। দক্ষিণে পাঠানেরা তোরণ রক্ষা করিত এবং উত্তরে বাগদী জাতীয় তীরন্দাজ ও তলোয়ার