পাতা:ধম্মপদ (চারু চন্দ্র বসু).djvu/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ം'ം ধৰ্ম্মপদ গ্রন্থের অখকথা নামে যে টীকা প্রণয়ন করিয়াছেন, তাহাতে যে সকল শ্লোক উদ্ধৃত হইয়াছে, উহার সহও হিন্দুগ্রন্থে উদ্ধৃত শ্লোকের অনেক সোসাদৃশু বিদ্যমান আছে少 একটা উদাহরণ এস্থলে উল্লিখিত হহতেছে। এক সময়ে একটা ব্যাধ জাল পাতিয়া বসিয়াছিল । বহু পক্ষী ঐ জালে বদ্ধ হয় । তপন পক্ষিগণ পরম্পর পরামর্শ করিয়া জাল লইয়। যুগপৎ উড়িয়া গেল। এই ঘটনাপ্রসঙ্গে হিন্দু ও বৌদ্ধ গ্রন্থে নিম্নলিখিত শ্লোকসমূহ দৃষ্ট হয় — · মহাভারত ! পাশমেকমুভাবেতং সঙ্গিতেী হরতে মম । যত্র বৈ বিবদিষ্যেতে তত্র মে বশমেষ্যতঃ ॥ ( উদ্যোগপৰ্ব্ব, শ্লোক ২৪৬১ ) { দুইটা পক্ষী সংমিলিত হইয়। আমার জালপাশ হরণ করিল। কিন্তু যখন ইহারা বিবাদ করিলে, তখন আমার বশে অগসিবে । পঞ্চতন্ত্র । জালমাদায় গচ্ছন্তি সহসা পক্ষিণোহপানী । যাবচ্চ.বিবদিষ্যন্তে পতিষ্কৃতি ন সংশয়ঃ। ( ২—১০ । এমন কি পক্ষিগণ ও জল লইয়া সহসা উড়িয়া গেল। কিন্তু যখন ইহার বিবাদ করিবে, তখন নিশ্চয়ই ভূমিতে পতিত হইবে । হিতোপদেশ । ংহতাস্তু হরন্ত্যেতে মম জালং বিহঙ্গমাঃ । যদা তু নিপতিৰ্যন্তি বশমেষ্যস্তি মে তদা । ( ১ ৩৬ । এই পক্ষিগণ মিলিত হইয়া আমার জাল হরণ করিল। কিন্তু ইহারা যখন ভূমিতে পতিত হইবে, তখন আমার বশে আসিবে।