ه أنه ছিল বলিয়া বৌদ্ধগণ তাহাকে বুদ্ধঘোষ, এই উপনাম প্রদান করেন। বৌদ্ধধৰ্ম্মে দীক্ষিত হওয়ার পর তিনি বুদ্ধঘোষ নামেই প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন। দীক্ষা গ্ৰহণানন্তর বুদ্ধঘোষ “জ্ঞানোদয়” নামে একখানি বৌদ্ধগ্রন্থ প্রণয়ন করেন। অনন্তর তিনি ত্রিপিটকের টীকা বিরচন করিবার মানস করেন। এই সময়ে রেবত ভিক্ষু তাহাকে বলিলেন, “জম্বুদ্বীপে ত্রিপিটকের মূলগ্রন্থ মাত্র বিদ্যমান আছে, কিন্তু উহার ব্যাখ্যা এদেশে বর্তমান নাই। স্থবিজ্ঞ মহেন্দ্র খৃষ্টপূৰ্ব্ব ২৪১ অব্দে সিংহলী ভাষায় ত্রিপিটকের যে ব্যাখ্যা লিখিয়া গিয়াছেন, উহা অবলম্বন করিয়া পালিভাষায় ত্রিপিটকের টীকা বিরচন কর । ইহাতে জগতের প্রকৃত মঙ্গল সাধিত হইবে।” রেবত ভিক্ষুর পরামর্শানুসারে বুদ্ধঘোষ সিংহল যাত্রা করেন। এই সময়ে (৪১০ –৪৩২ খৃঃ অব্দ পর্য্যস্ত) মহানাম সিংহলের রাজা ছিলেন। বুদ্ধঘোষ সিংহলের অনুরাধপুর নগরস্থিত মহাবিহারে উপস্থিত হইয়া স্থবির সংঘপালের নিকট ত্রিপিটকের সিংহলী ব্যাখ্যা শ্রবণ করেন । তদনন্তর তিনি পালিভাষায় বিমুদ্ধিমগগে। (বিশুদ্ধিমার্গ) নামক একখানি উৎকৃষ্ট গ্রন্থ রচনা করেন । সিংহলবাসিগণ র্তাহার অসাধারণ বিদ্যাবত্তায় সন্তুষ্ট হইয় তাহাকে অখকথা (অর্থকথা) নামক পুস্তক প্রদান করেন। এই অথকথাই ত্রিপিটকের পালি ব্যাখ্যা । বুদ্ধঘোষ এই অখকথা পালিভাষায় অনুবাদিত করিয়া জম্বুদ্বীপে ত্রিপিটকের যথার্থ ব্যাখ্যা প্রচার করেন । বুদ্ধঘোষ সিংহল হইতে যে সমস্ত বৌদ্ধগ্রন্থের উদ্ধার করেন, ব্ৰহ্ম বা তৈলঙ্গী অক্ষরে ঐ সকল গ্রন্থের প্রতিলিপি প্রস্তুত হয় । এইরূপে ক্রমে ব্রহ্মদেশে বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রচার বৃদ্ধি হয়। ১৮৫৫ খৃঃ অব্দে ডেনমার্কবাসী সুপ্রসিদ্ধ ডাক্তার ফজ বোল ধৰ্ম্মপদের এক অত্যুৎকৃষ্ট সংস্করণ প্রকাশ করেন। ঐ সময়ে তিনি উক্ত গ্রন্থ লাটন ভাষায় অনুবাদিত করিয়া ইউরোপীয় পণ্ডিতমণ্ডলীর চিত্ত আকর্ষণ
পাতা:ধম্মপদ (চারু চন্দ্র বসু).djvu/১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।