υητν ο উৎসর্গ করিয়া থাকেন। শূন্যবাদ দর্শন শাস্ত্রের শিরোরা। এ পর্য্যন্ত দার্শনিক-চিন্তা শূন্যের অপেক্ষ কোন অধিকতর উচ্চ শিখরে অধিরোহণ করিতে সমর্থ হয় নাই ! শূন্ত মানব চিন্তার সৰ্ব্বোচ্চ বিশ্রাম স্থান । প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য জনপদে দার্শনিকগণ অনেক উচ্চ বস্তুর কল্পনা করিয়াছেন বটে, কিন্তু সকল বস্তুতেই কোন না কোন কলঙ্ক, আছে। সৰ্ব্বত্রই স্বাধীন চিন্তার প্রতিবন্ধক আছে, কেবল শূন্তষ্ট সৰ্ব্বতোভাবে নিষ্কলঙ্ক পদার্থ, এখানে স্বাধীন চিন্তার অব্যাহত প্রসার । শূন্তসাক্ষাৎকারই জীবের পরমপুরুষাৰ্থ । শূন্তই যোগীর পরম ধোয় পদার্থ। শূন্ত প্রত্যক্ষ হইলে সুন্মদ ও অস্মদের ভেদ তিরোহিত হইবে । সুখ ও দুঃখ উভয়ই বিলয় প্রাপ্ত হুইবে । হ্রস্ব ও দীর্ঘ অভিন্ন বলিয়া প্রতীয়মান হইবে । এখানে “অস্তি"ও নাই, “নাস্তি” ও নাই । এখানে “অস্তি” “নাস্তি” র সমন্বয় । এখানে উৎপত্তি ও বিনাশ, ক্ষণিকত্ব ও নিত্যত্ব, একত্ব ও নানাত্ব, আগমন ও নির্গমন এই সকল আপাতবিরুদ্ধ ধৰ্ম্ম পরস্পরের সহ বিরোধ ত্যাগ করিয়৷ অবস্থিত আছে। এখানে ভাব ও অভাবের সমন্বয়, এখানে উৎপত্তি ও বিনাশের সামঞ্জস্য, এখানে ক্ষণিকত্বের সহ নিত্যত্বের বিরোধ নাই, এখানে একত্ব ও নানাত্বের মিলন, এখানে আগমন ৪ নির্গমন ক্রিয় একই ভাবে নিম্পঃ হয় । এই পদার্থ টী বাস্তবিক পক্ষে অবাচ্য, অনিদর্শন, অপ্রতিষ্ঠ, অনাভাস, অনিকেত ও অবিজ্ঞপ্তিক । বুদ্ধদেব এই পদার্থের বর্ণনা করিতে অসমর্থ হইয়া বলিয়াছেন । “অনক্ষরস্ত ধৰ্ম্মস্ত শ্রীতিঃ কী দেশনা চ ক ?” আর বেদ যে পদর্থের সম্বন্ধে বলিয়াছেন “যতো বাচো নিবৰ্ত্তন্তে অপ্রাপ্য মনসা সহ” সেই পদার্থ শূন্ত ভিন্ন আর কিছুই নচে । বুদ্ধ তথাগত প্রিয় শিষ্য স্বভূতিকে বলিয়াছেন—“গষ্ঠীর মিতি স্বভূতে শূন্ততায় এতদধিবচনম,” হে স্বভূতে “গম্ভীর" এইটা শূন্যতার নাম ; “শুষ্ঠতায় এতদূধিবচনং 蠍
পাতা:ধম্মপদ (চারু চন্দ্র বসু).djvu/২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।