পাতা:ধর্ম্মজীবন (তৃতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 ५-औदन। স্বভাবতঃ এই কথা আসিয়া পড়ে, গাহস্থ্যি ও সামাজিক ভাব সকলকে ধৰ্ম্মের প্রতিকূল বলিয়া বিনষ্ট করিতে হুইবে না, কিন্তু ধৰ্ম্মের সহায় জানিয়া পোষণ করিতে হইবে, এবং মানবসমাজের সর্ববিধ উন্নতিকে ধৰ্ম্মের সাধন-ক্ষেত্রের মধ্যে আনিতে হুইবে । শ্ৰীতিই ধৰ্ম্মের সাধন বলিলে এই কথা স্বভাবতঃ আসিয়া পড়ে যে, জগৎ ও মানবকে প্রেমের আলিঙ্গনের মধ্যে আনিতে হইবে। দেখ জীবনের আদর্শ ও আকাঙক্ষা কি एकद्धि क्षुद्ध कव्लि ! ঈশ্বর অন্তরে, মানবের সাধনক্ষেত্র জনসমাজে, ও প্রীতিই প্রকৃষ্ট সাধন, এই তিনটী সত্য যদি আমরা ভাল করিয়া হৃদয়ে ধারণা করিতে পারি, তবে ইহার প্রভাবেই ভাবী ভারতের ধৰ্ম্মজীবন পরিবর্তিত হইয়া যাইবে। যে সকল সত্য ইহার প্রতিকুল, তাহা আপনাপনি খসিয়া পড়িবে। মানবপ্রকৃতির স্বাভাধিক রক্ষণশীলতা বশতঃ, বিশেষতঃ ধৰ্ম্মভাবের রক্ষণশীলতা বশতঃ, এবং মানব-হৃদয়ের উৎকণ্ঠবিমুখভাবশতঃ অনেক সময়ে দেখা যায়, মানব জীবনের অপর সকল বিভাগে পরিবর্তন ঘটিয়াও ধৰ্ম্মমতের ও ধন্মের আচরণের পরিবর্তন ঘটে না। এই কারণেই আমরা দেখিতে পাইতেছি যে, জগত যখন আলোকে ভরিয়া গিয়াছে, তখন ধৰ্ম্ম চাৰ্য্যগণ এক এক খণ্ড অন্ধকার বুকে ধারণ করিয়া পোষণ করিতেছেন। কিন্তু ইহা চিরদিন চলিতে পারে না। সাম্যবিধানের নিয়মানুসারে একদিন সমতা, আসিবেই আসিবে। যিনি মানবকে উন্নতির মুখে