পাতা:ধর্ম্মজীবন (তৃতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৪

y क्ष-यौवन । হৃদয়ের প্রীতি উভয়ে কিছু পার্থক্য আছে। জ্ঞান অসীমতা দেখিয়া চরিতার্থ হইতে পারে ; কিন্তু হৃদয় ধরিবাব, দুইবার, সম্ভোগ করিবার মত জিনিস চায়। এইজন্য সর্বদেশেই ও সর্বাবস্থাতেই নারী হৃদয় সুক্ষম সত্য অপেক্ষা স্কুল মানুষকে বেশী ভাল বাসে। প্রেমের স্বভাব তাহা প্ৰতিদান-প্ৰয়াসী ; যেখানে * প্ৰতিদান নাই, সেখানে প্ৰতিদানের কল্পনা করিয়াও মন সুখী হয়। প্ৰেম যদি প্রেমকে ধরিতে না পারে, তবে তাহা ভাল করিয়া জাগে না । একটী অপুর্ব রূপলাবণ্যযুক্ত, পাষাণ-নিৰ্ম্মিত দেবমুৰ্ত্তি অপেক্ষা একটী জীবন্ত কুকুরও ভাল, কারণ তাহার নাম ধরিয়া ডাকিলেই তাহার প্ৰেমোঙ্গুল চক্ষুদুটী দেখিতে পাই । এই যদি মানব-হৃদয়ের ধৰ্ম্ম হয়, তবে যাহার বিষয়ে এইমাত্র বলা যাইতেছে, যে তিনি অদৃশ্য, অরূপ, অনির্বাচনীয় নিরাধার, তাহাকে লইয়া হৃদয় পরিতৃপ্ত হইবে কিরূপে ? তাহাকে অবলম্বন করিয়া হৃদয় দাড়াইবে কিরূপে ? আর যদি হৃদয় না দাড়াইল, তবে প্ৰাণে অভয় ভােব আসিবে কিরূপে ? কোনও কোনও চিন্তাশীল ব্যক্তি এই কথা বলিয়াছেন, যে প্রাচীন ভারতে ব্ৰহ্মের অনন্ত ভাব মানব মনে প্ৰবল হওয়াতেই অবতারবাদের সৃষ্টি করা প্রয়োজন হইয়াছিল।. যিনি জ্ঞানবুদ্ধির অতীত, যিনি অদৃশ্য, অচিন্ত্য, অগ্ৰাহ তাঁহাকে লইয়া আমরা কি করিব ? অামার। এমন ঈশ্বর চাই, যিনি আমাদের সুখের সুখী, দুঃখের দুঃখী, যাহাকে ভয়ে বিপদে ধরিতে পারি ; তাহাতে অনন্তত থাকে থাক, সে অনন্ততাকে কিয়ৎপরিমাণে