পাতা:ধর্ম্মজীবন (তৃতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YV) ४6-औदन । যে বাক্যের একটা অলঙ্কার তাহা সত্য, কিন্তু ভিতরে একটু অর্থও আছে । চরিত্রের ভিত্তি কাহাকে বলে তাহা কিঞ্চিৎ প্ৰকাশ করিয়া বলিতেছি । আমাদের প্রতিদিনের কাজ কৰ্ম্মের পশ্চাতে যে জিনিস থাকে, থাকিয়া আমাদের কাজের লক্ষ্য ও গতিকে নিয়মিত করে,-বিপদ আপদে যে জিনিসের উপরে আমরা প্ৰধান রূপে নির্ভর করি, যে জিনিসকে আমরা প্ৰধানরূপে অন্বেষণ করি, যে জিনিসের লাভে হৃষ্ট হই, এবং যাহার ক্ষতিতে ভাঙ্গিয়া পড়ি, সেই জিনিস আমাদের চরিত্রের ভিত্তি । দুইটা দৃষ্টান্তের দ্বারা পুর্বোক্ত উক্তি কিঞ্চিৎ বিশদ করিবার চেন্টা করা যাইতেছে ; একজন বিষয়ী লোকের কথা আমি জানি। তিনি জীবনের প্রথমাবস্থাতে অতিশয় দারিদ্র্যে বাস করিয়াছিলেন। তঁহার পিতা অতি কন্টে তাহাদিগকে পালন করিতেন । ঈশ্বর-কৃপাতে পুত্ৰটীর মেধা কিঞ্চিৎ প্রখর হওয়াতে তিনি অল্প কালের মধ্যেই বিদ্যাশিক্ষা ও বিষয় কৰ্ম্মে পারগ হইয়া উঠিলেন। ইংরাজ গবৰ্ণমেণ্টের অধীনে চাকুরী পাইয়া দিন দিন উন্নতি লাভ করিতে লাগিলেন । অবশেষে অনেক শত টাকা বেতনের একটী কৰ্ম্মে প্ৰতিষ্ঠিত হইলেন । যে ব্যক্তি ধনের মুখ কখনও দেখে নাই, সে ধন পাইল, তখন ধনকে একেবারে বুকে ধরিল। তিনি মিতব্যয়িতার দ্বারা ধন সঞ্চয় করিতে লাগিলেন ! সৰ্ব্ব প্রযত্নে ধনগুলিকে রক্ষা করিতেন,-এবং সংসারের আপদ বিপদে সেগুলির ক্ষতি হইতে দিতেন না। পূর্বে তাহার স্বীয় অবস্থাপন্ন ব্যক্তিগণের