পাতা:ধর্ম্মজীবন (তৃতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

39 क्ष-ौवन । দুইটীকে বলবান করিয়া লইবেন বলিয়া। ইহাকেই পণ্ডিতেৱা tfrica, thra-rata, it survival of the fittest. জীবন সংগ্ৰাম যেমন জীব-জগতে আছে, যে জীব চলিয়া যায়, সে যে থাকে তাহাকে সবল করিয়া যায়, তেমনি আসল ও নকলে সংগ্ৰাম আছে। নকল চলিয়া যায়, আসলকে বলশালী করিয়া রাখিয়া যায়। রাবণ মরিয়া যায়, কিন্তু রামকে জয়শালী করিয়া যায়। বিধাতার অভিপ্ৰায় যাহাই হউক, মানব-জীবনে দেখিতেছি, মানব-ইতিবৃত্তে দেখিতেছি, ঈশ্বরের এই সত্যময় জগতে নফলের, অসত্যের, বঁচিবার আশা নাই । ইহা দেখিয়াই ঋষিরা বলিয়াছিলেন ;- “সমুলো বা এষ। পরিশুষ্যতি যোন্বত মভিবদতি।” যে অসত্যকে আশ্রয় করে সে সমুলে পরিশুষ্ক হয়। অর্থাৎ মুলহীন বৃক্ষের যেমন এ জগতে বঁচিবার উপায় নাই, তেমনি যাহা মিথ্যা, যাহা ছায়া, যাহা নকল, তাহারও বাঁচিবার উপায় নাই। তবে নকল কিছুকাল আসলকে ঘিরিয়া তাহার শক্তি ও মূল্য বাড়াইয়া দেয় এইমাত্র। সকল মানব সমাজে ঘুরিয়া বেড়ায় বটে, চাকচিক্যদ্বারা অনেক সময়ে চিত্ত হরণ করে বটে, কিন্তু মানব-প্ৰকৃতি কাহাকে চায় ? কাহান্ন আদর করে ? গতবারে যে দৃষ্টান্ত দিয়াছি, জগতের সাধু মহাজনের শিষ্য-সংখ্যা যে এত, তাহাতে কি প্ৰমাণ হয় ? জগতের লোক কাহাকে ধরিয়াছে ? জগতে ক্ষমতাশালী, বুদ্ধিমান, কৃতী, যশস্বী লোক ত কত জন্মিয়াজে,