পাতা:ধর্ম্মজীবন (তৃতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R O ५-खोदन } লাভ করা, দুই এক কথা নয় । কিন্তু অনেকে দুইকে এক মনে করেন ; অনেক ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ পড়িয়াছেন বলিয়া, তাহদের মনে এক প্রকার অহমিকার সঞ্চার হয়, তাহা সারবান ধৰ্ম্মজীবন লাভের পক্ষে সুমহৎ বিস্ত্র উৎপাদন করে। সারবান ধৰ্ম্মজীবন লাভের পথে পঞ্চম বিস্ত্র মেধা । মেধাকেও ভয় করিতে হইবে। মেধা শব্দের অর্থ প্রখরা বুদ্ধি। এই প্রখরা বুদ্ধি দুই প্রকারো কাৰ্য্য করে। প্রথম ইহার গুণে মানুষ ত্বরিত একটা জ্ঞাতব্য বিষয়ের মধ্যে প্রবিষ্ট হইতে পারে; তাহাকে ধারণা শক্তি বলা যায়। মেধাশালী লোকদিগের ধারণা শক্তি প্ৰবল ; কিন্তু অনেক মেধাবান লোকের ধারণা শক্তির সঙ্গে সঙ্গে এক প্রকার অসহিষ্ণুতা থাকে। তঁহার একটা বিষয়ে কিঞ্চিৎ দূর প্রবেশ করিয়াই, তাহার ভাবটা এক প্রকার সংগ্ৰহ করিয়া লন। তখন আর অধিক গভীর স্থানে প্রবেশ করিবার উপযুক্ত ধৈৰ্য থাকে না। দুই একটা তত্ত্ব জানিয়াই উপরে উঠিয়া পড়েন, ও বাহিরে তাহ প্রচার করিতে আরম্ভ করেন । মেধার এই এক অনিষ্ট ফল, যাহাতে সারবান ধৰ্ম্মজীবন গঠন rfs ( at মেধার দ্বিতীয় অনিষ্ট ফল। এই,-মেধাশালী লোকেরা সচরাচর কৃতী, কাৰ্যকুশল, বাগ্মী, সুলেখক প্রভৃতি হইয়া থাকেন। জগতের লোকে তাহদের কৃতিত্ব, বাগিতা, প্ৰভৃতি দেখিয়া তুলিয়া যায়, তাহারাও নিজে লোকের চক্ষে, আপনাদিগকে দেখিতে দেখিতে, আত্ম-প্ৰতারিত হইয়া পড়েন ;