পাতা:ধর্ম্মজীবন (তৃতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম-জীবন। এমনি প্ৰেম জন্মিল, যে সে জন্য প্ৰাণটা দেওয়া কিছুই মনে করিলেন না। আবার বলি, এই যে অতীন্দ্ৰিয় বিষয়কে মানুষ ভাল বাসিতে পারে, অতীন্দ্ৰিয় বিষয়কে সম্পদ মনে করিতে LBDSBD DBBBDD DDSS DDSBDBDLS DD DBDS ষে বৃত্তি, যে শক্তি এই অতীন্দ্ৰিয় বিষয়কে বুকে ধরে তাহার নাম ভক্তি । এই ভক্তি যখন ভগবানের চরণালিঙ্গন করিয়া । স্বগীয় বেশে উখিত হয়, তখন তাহাকে বলি ভগদ্ভক্তি ; যখন জগতের বহুকাল-সঞ্চিত জ্ঞান-সম্পত্তিকে বুকে ধরে তখন বলি শাস্ত্ৰনিষ্ঠা ; যখন মহাঙ্গনদিগের চরিত্রের আদর্শ দেখিয়া তঁহাদের চরণে নত হয়, তখন বলি সাধুভক্তি ; মুলে ইহা একই, প্ৰকাশ ভিন্ন ভিন্ন। এই ভক্তিবৃত্তির বিষয়ে যতই চিন্তা করি ততই বিস্ময়সাগরে মগ্ন হই। একবার ভাবিয়া দেখ, কি আশ্চৰ্য্য ব্যাপার ! জগতের কত বিষয় বিলুপ্ত হইয়াছে, বহু বহু সহস্ৰ বৎসর পরে তাহাদের ভগ্নাবশেষ সকল প্রাপ্ত হওয়া যাইতেছে! কোনও স্থানে বা এক মহানগরী ছিল, তাহা ভুমিতলে “প্রোথিত হইয়া - গিয়াছে, কোন ও রাজার কীৰ্ত্তিস্তস্ত ছিল তাহা বিদেশীয়ের অধিকার করিয়া তাহাকে পরিবৰ্ত্তিত করিয়া ফেলিয়ান্ধে ; সমৃদ্ধিশালী সাম্রাজ্য সকল ছিল, তাহার চিহ্রমাত্র ও নাই ; কত সাহিত্য, কত কাব্য, কত বিষয় বাণিজ্যের উন্নতি ছিল, যাহা মানবের স্মৃতি হইতে অন্তহিত হইয়াছে; কিন্তু এই জাতি সকলের অভুত্থান ও পতনের মধ্যে, সমৃদ্ধি ও অবসাদের মধ্যে,