পাতা:ধর্ম্মজীবন (তৃতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ο ধৰ্ম্ম-জীবন। পক্ষে প্রধান কারণ ও এই একত্ব জ্ঞানের প্রধান অন্তরায়, এই কারণে, জ্ঞানিগণ গৃহ, । পরিবার ও সমাজে আবদ্ধ জীবদিগকে চিরদিন অজ্ঞ ও অবিদ্যাজালে জড়িত বলিয়া অবজ্ঞা করিয়া আসিতেছেন। এই কারণেই অদ্বৈতবাদের গতি সমাজের অভিমুখে না হইয়া সমাজের বিমুখে। কেবল যে অদ্বৈতবাদমূলক উচ্চ হিন্দুধৰ্ম্ম জন-সমাজকে হীন চক্ষে দেখিতে উপদেশ দিয়াছেন তাহা নহে ; কিন্তু প্ৰচলিত খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মও আর এক দিক দিয়া সেই ভাব পোষণ করিয়াছে। সেণ্ট অগষ্টাইন নামক সুবিখ্যাত খ্ৰীষ্টীয় প্রচারকের সময় হইতে প্ৰাচীন খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম এই শিক্ষা দিয়া আসিয়াছেন যে মানবের আদি পিতামাতার অবাধ্যতা হেতু সমগ্ৰ মানবসমাজ পাপগ্ৰস্ত হইয়া রহিয়াছে ; সুতরাং বৰ্ত্তমান মানব-প্ৰকৃতির মূলে পাপ ;-তাহ ধৰ্ম্মের প্রতিকুল এবং তাহা হইতে যাহা কিছু উদ্ভূত হয়, সকলি অপবিত্র ও ধৰ্ম্মের প্রতিকূল। ইহা BDD iD DDBD BBBDSDB BDBDL DLKS BB DDSDDB প্ৰাপ্ত না হওয়া পৰ্য্যন্ত মানব-প্ৰকতি পাপময় । ইহা হইতে স্বাভাবিক মানুষ ও নবজীবন-প্ৰাপ্ত মানুষ, পারমার্থিক কাৰ্য্য ও লৌকিক কাৰ্য্য, এই উভয়ের মধ্যে একটী সুস্পষ্ট দৃশ্যমান সুমহৎ প্রাচীর উঠিয়াছে। এই কারণে বিশ্বাসী খ্ৰীষ্টীয়গণ জনসমাজের শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান, সভ্যতা প্ৰভৃতি সকলকে ধৰ্ম্মেয় চক্ষে দেখিতে পারেন না । ইহার অনেকগুলিকে তাহারা মানবের ঘূৰিত-প্রবৃত্তি-প্রসূত বলিয়া মনে করেন। এক