পাতা:ধর্ম্মজীবন (তৃতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ty क्ष4-डीवन । মনে আসে ? সেই গভীর প্রেমের উদ্বেলিত মুহুর্তে, সেই পতিপত্নীর সম্মিলন ক্ষেত্রে, আলবার্ট ও ভিক্টোরিয়া অথবা ঐ অরণ্যবাসী সাওতাল ও তাহার পত্নীতে প্ৰভেদ কি ? কেবল যে সম্মিলনের ব্যাপারটাতে প্ৰভেদ নাই, তাহা নহে ; ভিক্টোরিয়ার হৃদয়-নিহিত ভাবে ও প্ৰভেদ নাই ; প্ৰভেদ থাকিলে হৃদয়ে প্ৰেম নাই, এবং পতিসমাগমে মনে আনন্দ নাই। কেহ হয় তা বলিতে পারেন, ভিক্টোরিয়ার ঐ আনন্দের মধ্যে একাকিস্তত্ব কৈ ? এখানেও ত দুই জন ; আর একজনের সত্তাতেই ত এই আনন্দ ! নিগুঢ় ভাবে চিন্তা করিয়া দেখিলে দেখা যাইবে, দ্বিত্বজ্ঞান যতক্ষণ থাকে, ততক্ষণ আনন্দের প্রকৃত সান্দ্ৰতা হয় না। ঐ একজন আর এই আমি একজন, এরূপ উৎকট দ্বিত্বজ্ঞান ঘনীভূত প্রেমের বিরোধী। প্রেমের স্বধৰ্ম্ম একীভূত করা ; এক অপরে মিশিলে, পশিলে, ডুবিলে ও তাহার সহিত একীভূত হইলেই, সান্দ্ৰানন্দ উথলিত হয়। ঐ সান্দ্ৰানন্দের মুহুর্তে রাজ্যেশ্বরী রাণী, শ্ৰীসম্পদ, রাজগৌরব, শক্তি, সামর্থ, ক্ষমতা, প্ৰভুত্ব সমুদয় ভুলিয়া, একাকিনী ; সে সমুদয় একাগ্ৰচিত্ত ব্যক্তির অঙ্গের বস্ত্রের ন্যায় খসিয়া পড়ে, তিনি জানিতেও পারেন না। রাজ্যেশ্বরীর দৃস্টান্ত এই জন্য দিলাম যে সান্দ্রানন্দের একাকিত্ব ভাল করিয়া বুঝা যাইবে । যেমন হৃদয়ে হৃদয়ে সম্মিলনের সুখে মানবাত্মা সকল ভুলিয়া যায়, তেমনি জ্ঞানিগণ গভীর জ্ঞানালোচনাতে যখন