পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

分 ধৰ্ম্মজীবন । কার স্তুপ থাকে, তাহাতে যেমন হিমালয়কেও তোমার দৃষ্টি হইতে আবৃত করিয়া রাখিতে পারে, তেমনি একটু দস্ত তোমার দৃষ্টি হইতে অপরের পর্বত প্রমাণ সাধুতাকেও প্রচ্ছন্ন রাখিতে পারে। তুমি উত্তরে, দক্ষিণে, পূর্বে, পশ্চিমে যে দিকে চাহিতে যাও সেই দিকেই একটা স্তপ তোমার দৃষ্টিকে রোধ করে, সেটা তোমার নিজের মস্তক, তবে আর তুমি সাধু জনের সাধুতা বা কি দেখিবে এবং ঈশ্বরের মহত্ত্বই বা কি বুঝিবে ! যে রূপবতী নারীর নিজের রূপের জ্ঞান আছে এবং প্ৰতি পদবিক্ষেপে সেই রূপের জ্ঞান প্ৰকাশ পায়, তঁহাকে যেমন সেই কারণেই কদৰ্য্য দেখায়, তেমনি যাহার মনে জ্ঞান-জনিত বা ধৰ্ম্ম-জনিত ,স্ত আছে, তাহাকে ও কদর্স্য দেখায় । তবে দেখিতেছি। ধৰ্ম্মজীবন লাভের পক্ষে প্ৰথম প্রয়োজন অস্তু-পরীক্ষা দ্বার। সৰ্ব্ববিধ দন্ত হইতে আপনাকে রক্ষা করা । তং পরে ঈশ্বরকে সর্বান্তিঃকর োর সহিত অন্বেষণ করিতে হইবে । কিন্তু ঈশ্বর্যান্সেষণ কাহাকে বলে ? এবং ঈশ্বরান্বেষণে প্ৰবু বক্স হইতে হইলে কি প্রকার মন লইয়া প্ৰবৃত্ত হইতে হয়, তাহা নিৰ্দেশ করিবার পূর্বে পূৰ্ব্বোক্ত বচনের তাৎপর্স্যের প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা আবশ্যক বোধ হইতেছে। পূৰ্ব্বোক্ত বচনে বলা হইয়াছে -“যাহার। পরমেশ্বরকে অন্বেষণ করে,’’ এরূপ বলা হয় নাই- “যাহারা পরমেশ্বরের প্রতি নির্ভর করে।” যাহারা ঈশ্বরকে অন্বেষণ করে ও র্যাহারা ঈশ্বরের প্রতি নির্ভর করে, এ উভয়ে যে অনেক প্ৰভেদ তাহা সকলেই অনুভব করিতে পারেন। কেবল মাত্ৰ নিৰ্ভয়